পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বানভাসি ঘাটাল সফরের ২৪ ঘণ্টা পরেই বুধবার দুপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন চার সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধি দল। আকাশ পথে ঘাটালের বঙ্গবাসী ক্লাবের মাঠে এসে, সেখান থেকে অন্যান্য বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন ওই প্রতিনিধিরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ঘাটাল সফরের পরেই বন্যা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজ্যসরকারের একটি দীর্ঘ বৈঠক চলে। সেই বৈঠকেই কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির তরফেই এদিন ঘাটালে আসেন ওই চার প্রতিনিধি। উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও নিকাশি বিভাগের প্রধান সচিব প্রভাত কুমার মিশ্র। এদিন, এই চার সদস্যের প্রতিনিধি দল হরিশপুর,প্রতাপপুর বাঁধ, শিলাবতী বাঁধ প্রভৃতি এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। প্রভাত কুমার এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কমিটি গঠন করে ঘাটালের বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি কিভাবে উন্নতি করা যায় সেসব ঘুরে দেখে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে রিপোর্ট তৈরি করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”
বানভাসি ঘাটালের দুরবস্থার জন্য কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘পরিকল্পিত বন্যা’র অভিযোগের পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ান রূপায়ণে জেলার জনপ্রতিনিধিদের দিল্লি গিয়ে দরবার করবার নির্দেশ দেন মুখ্য়মন্ত্রী। অন্যদিকে, ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবের মতে, ক্ষতিপূরণের টাকা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের রূপায়ণে কাজে লাগানো হলে এইভাবে জলযন্ত্রণার শিকার হতে হত না। সাংসদের কথায়, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করছি। আমি নিজে বহু বার সংসদে এ প্রসঙ্গ তুলেছি। দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি।” তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা দ্রুক রূপায়ণ করা উচিত বলেই মনে করেন ঘাটাল সাংসদ। আরও পড়ুন: ‘মাসিক ১১ হাজার টাকা বেতন’, ইমেল পেতেই জেলাশাসকের দফতরে ভিড়, সত্যিটা জেনেই মাথায় হাত!