Netai Genocide : জামিনে মুক্ত নেতাইকাণ্ডের তিন মূল অভিযুক্ত, ফের ‘মাও-তৃণমূল চক্রান্তে’ সরব সুশান্ত

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 31, 2023 | 6:31 PM

Netai Genocide : নেতাই গণহত্যার ঘটনায় শুরুতেই অভিযোগ ওঠে সিপিএমের (CPIM) এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে।

Netai Genocide : জামিনে মুক্ত নেতাইকাণ্ডের তিন মূল অভিযুক্ত, ফের ‘মাও-তৃণমূল চক্রান্তে’ সরব সুশান্ত

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর : চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। লালগড়ের নেতাই গ্রামে রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সিপিএমের (CPIM) সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় প্রাণ যায় ৯ জনের, ২৮ জন আহত হন। এর কিছুদিন পরেই সরকারে পালাবদল দেখেছিল গোটা রাজ্য। বামেদের হটিয়ে মসনদে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে নেতাই তারপর থেকে বাংলার রাজনীতির ময়দানে নানা পটপরিবর্তন দেখা গেলেও ভোট এলেই উঠে আসে নেতাই প্রসঙ্গ। এদিকে এরইমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়ে গেলেন নেতাই মামলার তিন মূল অভিযুক্ত। ফুল্লরা মণ্ডলের পর জামিন পেলেন ঘটনার মূল অভিযুক্ত দাপুটে সিপিআইএম নেতা অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। তিনজনই একসময় এলাকায় দাপুটে সিপিএম নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। ‘নেতাই কাণ্ড পুরোটাই তৃণমূল ও মাওবাদীদের চক্রান্তের ফসল ছিল।’ অনুজ-ডালিমদের গ্রেফতারির পরই শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে প্রতিক্রিয়া বাম নেতা সুশান্ত ঘোষের। 

নেতাই গণহত্যার ঘটনায় শুরুতেই অভিযোগ ওঠে সিপিএমের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে। ফুল্লরা, খলিল উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন মুক্তি পেলেও মুক্তি পাচ্ছিলেন না মূল অভিযুক্তরা। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন এই তিন মূল অভিযুক্ত। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জামিনের কপি পৌঁছানোর পরেই এই তিনজনকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোম থেকে ছাড়া হবে বলে খবর সূত্রের।

আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, “আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে-কে জামিন দিয়েছে। এনারা গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি। তারপর থেকে জেলেই দিন কাটছিল। এদিকে এই কেসের ১২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০ জন্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।” বাম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এটা তো হওয়ারই ছিল। ফুল্লরা যেদিন জামিন পেয়েছিল সেদিনই আমি বলেছিলাম বাকিরাও জামিন পেয়ে যাবে। অবশেষে সকলেই জামিন পেলেন। আরও কয়েকজন এখনও বাকি আছেন। আমরা আশা করছি তাঁরাও জামিন পেয়ে যাবেন।” তাঁর স্পষ্ট দাবি, নেতাই কাণ্ড পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল। সে কারণেই বহু বাম নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে এদিন ফের একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মাওবাদীদের সঙ্গে তৃণমূল হাত মিলিয়েছিল। তাদের যৌথ পরিকল্পনারই ফসল ছিল নেতাইয়ের ঘটনা।”  

Next Article