কেশপুর: আবাস যোজনায় টাকা পেলেও একজন ঘর তৈরির জন্য বাড়তি খরচের ভয়ে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অন্যজনের যুক্তি ছিল তিনি ও তার স্বামী তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর স্বামী বুথ সভাপতি, দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল করছেন। তাই তাঁরা আবাস যোজনার ঘর নেবেন না। শেখ হসিনউদ্দিন ও মঞ্জু দলবেরা, দুজনেই কেশপুরের বাসিন্দা। দুজনকেই এবারে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ‘নতুন তৃণমূলের’ আদর্শ মুখ হিসাবে এই দুই ‘সৎ’ মানুষকেই রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেকে নিয়েছিলেন মঞ্চে। যদিও হসিনউদ্দিন এর আগে কখনওই করেননি রাজনীতি। অভিষেকের কথা রেখেই নেমে পড়েছিলেন ভোটের ময়দানে। জয়ীও হয়েছেন।
কেশপুরের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন হসিনউদ্দিন। তাঁর উল্টোদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আবদুল জব্বর মল্লিক। তাঁকে ২১ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন হসিনউদ্দিন। পেয়েছেন ২৩০ ভোট। অন্যদিকে জব্বর পেয়েছেন ২০৯ ভোট। ভোটের ফল প্রকাশের দিনই আবার কংগ্রেস প্রার্থীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ভোটের সময় কলাগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষে অভিযোগের তির উঠেছে তাঁর দিকে। সে ঘটনাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে ভোটের লড়াইয়ে নামলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন মঞ্জু দলবেরা। তবে এই প্রথম যে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন এমনটা নয়। আগেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য। এবারে লড়েছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। গোলাড়ের ৫৩ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন তিনি। তাঁর উল্টোদিকে বিরোধী শিবিরের কোনও প্রার্থীই ছিল না এবারের ভোটে।