কলকাতা ও দিল্লি: মহিলা ক্ষমতায়ন (Woman Empowerment)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বারবার এ কথা শোনা যায়। তাঁর সরকার মহিলাদের জন্য কী কী করেছেন, সেই খতিয়ান বিভিন্ন সময় দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসনে মহিলাদের উপস্থিতির কথাও তুলে ধরেন। এবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম বা ADR-র (ADR) রিপোর্টেও সেই ‘সাফল্য’ ধরা পড়ল। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ রাজ্যে মোট ৮ মহিলা রয়েছেন মন্ত্রিসভায়। দেশে এই মুহূর্তে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আরও সাত মহিলা রয়েছেন বাংলার মন্ত্রিসভায়। তাঁরা হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, সাবিনা ইয়াসমিন, শিউলি সাহা, সন্ধ্যারানি টুডু, জ্যোৎস্না মান্ডি। অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প, স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব রয়েছেন তাঁরা।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মের রিপোর্ট বলছে, রাজ্যগুলির মোট মন্ত্রীর সংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ মহিলা। সবমিলিয়ে সেই সংখ্যাটা ৫১। এর মধ্যে বাংলায় রয়েছেন ৮ জন। মন্ত্রিসভার মোট সদস্যের নিরিখে ১৮ শতাংশ। বাংলার পরই রয়েছে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। নবীন পট্টনায়েকের মন্ত্রিসভায় মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা ৫। মোট মন্ত্রীসংখ্যার নিরিখে ২৩ শতাংশ। ওড়িশার সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশ। ৪০৩ বিধানসভা আসনের এই রাজ্যেও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ৫ মহিলা। তবে মন্ত্রিসভার মোট সদস্যের নিরিখে যা খুবই কম। মাত্র ১০ শতাংশ।
এডিআর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, একাধিক রাজ্যের মন্ত্রিসভায় মহিলা সদস্যই নেই। রাজধানী দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমি পার্টি। কেজরীবালের মন্ত্রিসভায় কোনও মহিলা সদস্য নেই। দিল্লির মতো মহারাষ্ট্র সরকারেও কোনও মহিলা মন্ত্রী নেই। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশ, মিজ়োরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ ও সিকিমে মন্ত্রিসভায় কোনও মহিলা প্রতিনিধি নেই।