Cyber Crime: শরীর ভাল নেই, ৯০ হাজার টাকা চান প্রেমিকা; এরপরই বাজ পড়ল প্রেমিকের মাথায়…

Ashim Bera | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 11, 2023 | 11:28 AM

Medinipur: অভিযোগ, দাসপুরের যুবককে প্রথমে মেসেজ করা হয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে প্রেমের কথাও চলে।

Cyber Crime:  শরীর ভাল নেই, ৯০ হাজার টাকা চান প্রেমিকা; এরপরই বাজ পড়ল প্রেমিকের মাথায়...
ভুয়ো প্রোফাইল খুলে প্রতারণার অভিযোগ।

Follow Us

মেদিনীপুর: প্রেমের ফাঁদ ভুবনজোড়া পাতা। তবে সে ফাঁদ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাতা হয়, তাহলে কখনও কখনও বড়সড় বিপত্তিও ঘটে যেতে পারে। সবদিক যাচাই না করে মন দিলে দাসপুরের (Daspur) যুবকের পরিণতি হতে পারে যে কারও। ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ভুয়ো ছবি, এমনকী স্বর বদলে অবিকল মেয়ের গলায় ফোন করে দাসপুরের যুবকের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দ্রকোণা থানার এক যুবকের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার কদমতলা। সেখানকার বাসিন্দা শঙ্খ মণ্ডল পেশায় একজন বিউটিশিয়ন। অভিযোগ, তিনিই ফেসবুকে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খোলেন। সেখানে নিজের নাম ‘সুস্মিতা সুস্মিতা’ লেখেন। সঙ্গে এক মহিলার ছবি। সেই প্রোফাইল থেকেই দাসপুরের ওই যুবককে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠান তিনি। অভিযোগ, সেই ‘অনুরোধ’ গৃহীত হওয়ার পরই পাতা হয় ফাঁদ।

অভিযোগ, দাসপুরের যুবককে প্রথমে মেসেজ করা হয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে প্রেমের কথাও চলে। অভিযোগ, দাসপুরের ওই যুবক যখন ‘সুস্মিতা’য় মজে, তখনই তাঁর কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। অভিযোগ, অসুস্থতার কথা বলে সেই টাকা চান। দাসপুরের যুবক তা দিয়েও দেন।

কিন্তু পরবর্তীকালে বেশ কিছু বিষয়ে খটকা লাগে অভিযোগকারীর। এরপরই শুক্রবার রাতে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী বলেন, “ও ছেলে। মেয়ে সেজে আমার সঙ্গে কথা বলত। আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে ও যদি টাকা ফিরিয়ে দেয় তবে আমি কোনও মামলার পথে হাঁটব না।”

শঙ্খ মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে স্বীকারও করে নেন, তাঁর ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কথা। তবে গলা বদলে মেয়েদের মতো করে কথা বলার বিষয়টি মানতে চাননি তিনি। বরং তাঁর দাবি, তিনি সবসময়ই আসতে কথা বলেন। ফোনে সেটা শুনে মেয়েদের গলা বলে মনে হয়ে থাকতে পারে।

তবে শঙ্খ মণ্ডলের বাবা জানান, “আমার ছেলে বিউটি পার্লারে কাজ করে। কনে সাজানোর কাজ পেয়েছিল। শুক্রবার সেই কাজের কিছু টাকা অ্যাডভান্স করবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর ছেলে আড়াইটে নাগাদ আমাকে ফোন করে বলে ৭০ হাজার টাকা দিতে। ব্যাঙ্কে সেই টাকা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলে। আমি পুলিশকে সবটা জানিয়েছি।”

Next Article