Water Crisis: খাওয়ার জলটুকু মেলে না, তিন মাস ধরে জল না পেয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় হুঁশিয়ারি
Medinipur: কারা এই সমস্যা সমাধান করবে তা নিয়ে দ্বিমত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও সাধারণ সদস্যর।
মেদিনীপুর: তিন মাসের বেশি সময় হয়ে গেল গ্রামে জলের সঙ্কট (Water Crisis)। শত দোরে দরবার করেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামের লোকজনের। পাঁচটি পাড়া ভুগছে জলসঙ্কটে। সকাল থেকে বাড়ির ছেলে-বউ বা বৃদ্ধ-ছোকরা জলের পাত্র নিয়ে এদিক ওদিক বেরিয়ে পড়েন। জল সমস্যার সমাধান না হলে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করবেন বলে এবার হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। দাসপুর-১ ব্লকের নন্দনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর এলাকা। অভিযোগ, সেখানকার সামন্ত পাড়া, মণ্ডল পাড়া, হাঁড়া ও প্রামাণিক পাড়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গত তিনমাস ধরে পানীয় জলের হাহাকার চলছে। শীতেই যদি এমন দুর্ভোগ হয়, গরমে কী হবে ভেবেই গলা শুকোচ্ছে এলাকার লোকজনের। অভিযোগ, জল সমস্যার কথা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এলাকার লোকজনের দাবি,
এমনকী এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় দুর্গাপুরে অবস্থিত পিএইচই জল প্রকল্পের পানীয় জল পেতেন তাঁরা। কিন্ত ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হওয়ার কারণে এই সড়কের অন্তর্গত দুর্গাপুর-শিবতলা সহ আরও ৫টি জায়গায় পাইপ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। আর সে কারণেই জলসঙ্কট চরমে বলছেন এলাকার লোকজন।
বেশ কিছু পরিবার পাশের গ্রাম অর্থাৎ গৌরা থেকে জল নিয়ে আসতেন। কিন্তু সেখানেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সপ্তাহখানেক বন্ধ রয়েছে জল সরবরাহ। ফলে চরম সমস্যায় ভুগছে এই এলাকার পরিবারগুলি। বর্তমানে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মাঠ থেকে চাষের কাজে ব্যবহৃত গভীর নলকূপ থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন কেউ কেউ। এমনকী তাঁরা আরও জানান, নন্দনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সোমা সামন্তকে বারবার বলা হলেও তিনি তা আমলে আনেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ময়দানে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনে পঞ্চায়েত ঘেরাও করবেন।
জল সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য সোমা সামন্ত। তবে তাঁর বক্তব্য, এলাকার জলের সমস্যা নিয়ে লিখিতভাবে তিনি পঞ্চায়েত-প্রধান সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি জলের সমস্যা মেটানোরও আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বক্তব্য আবার আলাদা। উপপ্রধান গোপাল নন্দী জানান, বিষয়টি পিএইচই দফতরের আওতাধীন। তাই এখানে পঞ্চায়েতের হাতে কিছু নেই।