নারায়ণগড়: ওষুধ দোকানের মালিককে তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি যেতে অস্বীকার করায় লোক দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। পরে স্বামীকে বাঁচাতে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী পৌঁছলে তাঁকেও মারধর। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে দাবি গৃহবধূর। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানা এলাকার ঘটনা। সেখানেই এক ওষুধ ব্যবাসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। যদিও, তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগ সোমবার রাতে ওই ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে দুজন আসেন। তাঁরা ব্যবসায়ীকে জানান অঞ্চল সভাপতি তাঁকে পার্টি অফিসে ডেকেছেন। যদিও, ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে সেখানে যেতে অস্বীকার করেন। তখন ওই দু’জন ফিরে যান। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পর সৌমেন করণ নামে আরও এক তৃণমূল কর্মী এবং আরও ওই দুজন ফের উপস্থিত হয় দোকানে। তারপর ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারতে-মারতে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল কার্যালয়ে।
এ দিকে, স্বামীকে মারধর করা হয়েছে ততক্ষণে খবর পেয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। দ্রুত তিনি ও তাঁর ভাই তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছন। মহিলার দাবি, সেই সময় স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর শ্লীলতাহানি করেন তৃণমূল ওই অঞ্চল সভাপতি ও একজন। চিৎকার শুনে আশপাশের ব্যবসায়ীরা তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছন। উদ্ধার করেন স্বামী স্ত্রী দু’জনকে।
যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “দলীয় কার্যালয়ে কিছু হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। তবে এটা ঠিক এই ওষুধ দোকান মালিক বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছিলেন না। কয়েকজন সেই টাকা চাওয়ার জন্য দোকানে গিয়েছিলেন। শুনেছি সেইসময় বচসা হয়েছিল।”
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “অভিযোগ এটাই বাংলা। যেখানে মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই।” পাশাপাশি তৃণমূলের জেলার সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন আসল ঘটনা কী হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”