কলকাতা: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে স্বস্তিতে বাংলার কৃষকরা। জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছিল বীজতলা। অবশেষে বৃষ্টির জল জমতে শুরু করেছে জমিতে। জোর কদমে মাটি চষার কাজ শুরু হয়েছে বাংলার কৃষি বলয়ে। হুগলি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন ধানচাষিরা।
আমন চাষের মরসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। শুকিয়ে যাচ্ছিল বীজতলা। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে চাষ উপযোগী জমি তৈরি করা যায়নি। এদিকে বৃষ্টির অপেক্ষায় পেরিয়েছে বপন করা বীজের বয়স।
মূলত, জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ়ের শুরুতেই আমন ধানের বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পর জমিকে চাষ উপযোগী করে চারা রোপণ করা হয়। সেখানে বৃষ্টির জলে জমি কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ার আগেই বীজের বয়স পেরিয়েছি ৪০ দিনের উপর। আবার নতুন করে বীজ বপন করে চাষ সম্ভব নয়।
তাই ফলন কম হবে জেনেও চাষের পক্ষে অনুপযোগী বীজ দিয়েই রোপণ শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা। টানা দুদিন নাগাড়ে বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে কৃষকরা। জোর কদমে চলছে জমি উপযোগী করা, বীজতলা থেকে ধান বীজ তোলা, ধান রোপণের কাজ। তবে দেরিতে চাষ শুরু হওয়ায় ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের।
কৃষকরা বলেন, “দু’একদিন হয়েছে বীজ বপন করছি। আগে মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই যদি না এখনই ধান রোপণ করা হয় ধানের দাম, চালের দাম বেড়েই যাবে।”
নিম্নচাপের বৃষ্টি আমন ধানের চাষিদের মুখে হাসি ফোটালেও, উল্টো ছবি সবজি চাষে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে টানা বৃষ্টিতে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার কয়েকশো বিঘা সবজির জমি ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গেছে। খেতের সবজি নষ্ট হওয়ায় লোকসান সবজি চাষিদের।