Police Suicide: শ্রীরামপুরে পুলিশ ফাঁড়িতেই পুলিশের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা
Police Suicide: ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পিয়ারাপুর ফাঁড়িতে ছুটে যান ডিডি এসিপি সহ চন্দননগর পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তবে ঠিক কারণে এই মৃত্যু তা এখনও পরিষ্কার নয়। রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের দিকে নজর সকলের।
শ্রীরামপুর: শ্রীরামপুরের (Shrirampur) পিয়ারাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এক পুলিশ (Police) কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন সকালে ফাঁড়ির ব্যারাকে বিশ্বপ্রিয় কুন্ডু (৪৭) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার বাড়ি হাওড়ার আন্দুলে। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে পরিবারের সদস্যদের কাছে। ২০২০ সালে শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত পিয়ারাপুর ফাঁড়িতে কাজে যোগ দেন তিনি। তার আগে চন্দননগর কমিশনারেটের উত্তরপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন বিশ্বপ্রিয়।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পিয়ারাপুর ফাঁড়িতে ছুটে যান ডিডি এসিপি সহ চন্দননগর পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তবে ঠিক কারণে এই মৃত্যু তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিশ কর্মী। তবে অবসাদের কারণে নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা, নাকি পারিবারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সময় ও কারণের বিষয়ে খানিক ধোঁয়াশা কাটতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে দিনের শুরুতে একেবারে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, করোনাকালের পর থেকে বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। চাকরির অভাব, পড়াশোনার দুশ্চিন্তা, পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক জটিলতা সহ নানাবিধ কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন যুব সমাজের একটা বড় অংশ। এমনটাই মত মনোবিদদের। কিন্তু, সমাজ রক্ষার দায়িত্ব যাদের কাঁধে সেই পুলিশ ব্রিগেডের কর্মীরাই যদি আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যায় তবে যে সমাজের মনোবলের ভীত অনেকটাই নাড়িয়ে দেয় তা মানছেন সকলেই।