আরামবাগ:সপ্তাহের মাঝেই ভারি বৃষ্টিপাত আর তার জেরেই বিপাকে রাজ্যের আলু চাষীরা। ইতিমধ্যেই আলুর জমিতে জমতে শুরু করেছে জল। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় আলুর চারাগুলি উল্টে গিয়ে নুইয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যার যেরে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। সকাল থেকেই তারা জমির জল সেঁচার কাজে লেগে পড়েছেন চাষীরা। তাদের আশঙ্কা শীতকালের এই অকাল বৃষ্টিতে মার খাবে তাদের আলুর ফলন। এমনিতেই গত দু বছর ধরে মহামারীর প্রভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন তারা। এবার প্রকৃতিও তাদের সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বৃষ্টিতে চাষীদের এমনই বেহাল দশার ছবি ধরা পড়ল আরামবাগে।
এমনিতেই পরপর দুইবারের আলুচাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি আরামবাগের চাষীরাও। প্রথমবার জমিতে আলুর চাষ করার পর পুরোটাই নষ্ট হয়েছিল তাঁদের। এবার আবারও জমিতে আলু বুনেছিলেন চাষীরা। তাদের আশঙ্কা ছিল শীতকালের পরপর অকাল বৃষ্টিপাত এবং ঘন কুয়াশায় এবার আলুর ফলন অনেকটাই কমে যাবে। তা সত্ত্বেও এবারের সদ্য পোঁতা আলুর চারাগুলি বাঁচাতে তৎপর ছিলেন আরামবাগের চাষীরা। কিন্তু গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি তাদের শেষ আশাও ধুইয়ে দিয়েছে। তাদের মনে আশঙ্কা যদি এইভাবে লাগাতার বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে আলুর ফলন রক্ষা করা কীভাবে যাবে? তাদের আশঙ্কা ধারদেনা করে শুরু করা এবারের আলুচাষ বৃষ্টি এসে শেষ করে দিল।
তারপরও চাষীরা আলু গাছ বাঁচাতে তৎপর ছিলেন। আবারো রাত থেকে বৃষ্টিপাত চাষীদের সবকিছু আশা শেষ করে দিয়েছে। তবুও এই প্রবল বৃষ্টি থেকে আলু জমিকে রক্ষা করতে তৎপর হয়েছে চাষিরা। প্রশ্ন একটাই যদি এইভাবে লাগাতার বৃষ্টিপাত হয় তাহলে কি আলু জমিগুলো রক্ষা পাবে? চাষীদের আশঙ্কা সবকিছুই শেষ হয়ে গেল। ধারদেনা করে আলু লাগিয়েছিলেন সমস্ত টাকা পয়সাই জলে গেল।
এই ব্যাপারে আরামবাগের স্থানীয় চাষী চন্দন ঘোষ বলেন, ‘কাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। আমাদের আলুগাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আর কয়েক ঘণ্টা জল হলে চারাগুলোও ডুবে যাবে দেখা যাবে না। ইতিমধ্যেই হাওয়ায় চারাগাছ ভেঙে গেছে। এখনও দুদিন বৃষ্টি হবে বলা হচ্ছে, তার মানে আমরা একেবারে শেষ হয়ে যাব। আমাদের সবটাই ক্ষতি হয়ে যাবে, আগের বারও হয়েছিল এবারও হবে।’
অন্যদিকে বুদ্ধদেব গোস্বামী নামে আরেক চাষী বলেন, ‘যা অবস্থা গাছগুলো সব পচে গিয়ে মরে যাবে। প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাবে। জমিতে জল বের করার রাস্তা কাটছি তাতেও কিছু হচ্ছে না। জল জমে আছে গাছ পচে প্রচুর ক্ষতি হবে। আমাদের এই ক্ষতিপূরণ হবে না, ভগবান জানেন কী হবে।’ আরেক চাষী সুভাষ দে বলেন, ‘ প্রথমবারের চাষ নষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আবার চাষ করা হল। দ্বিতীয়বারের চাষ অর্ধেকও হয়নি তার আগেই এত বৃষ্টি যে মনে হচ্ছে আলুর ফলন আর হবে না, এরপরও যদি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে তাহলে সমস্ত আলুই নষ্ট হয়ে যাবে। চাষীরা শেষ হয়ে গেল। এরপর আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব কে জানে। সব জল বের করা যাচ্ছে না, কীভাবে দেনা শোধ করব, কীভাবেই বা সংসার চালাব ভেবে মাথায় হাত পড়েছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরামবাগ:সপ্তাহের মাঝেই ভারি বৃষ্টিপাত আর তার জেরেই বিপাকে রাজ্যের আলু চাষীরা। ইতিমধ্যেই আলুর জমিতে জমতে শুরু করেছে জল। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় আলুর চারাগুলি উল্টে গিয়ে নুইয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যার যেরে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। সকাল থেকেই তারা জমির জল সেঁচার কাজে লেগে পড়েছেন চাষীরা। তাদের আশঙ্কা শীতকালের এই অকাল বৃষ্টিতে মার খাবে তাদের আলুর ফলন। এমনিতেই গত দু বছর ধরে মহামারীর প্রভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন তারা। এবার প্রকৃতিও তাদের সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বৃষ্টিতে চাষীদের এমনই বেহাল দশার ছবি ধরা পড়ল আরামবাগে।
এমনিতেই পরপর দুইবারের আলুচাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি আরামবাগের চাষীরাও। প্রথমবার জমিতে আলুর চাষ করার পর পুরোটাই নষ্ট হয়েছিল তাঁদের। এবার আবারও জমিতে আলু বুনেছিলেন চাষীরা। তাদের আশঙ্কা ছিল শীতকালের পরপর অকাল বৃষ্টিপাত এবং ঘন কুয়াশায় এবার আলুর ফলন অনেকটাই কমে যাবে। তা সত্ত্বেও এবারের সদ্য পোঁতা আলুর চারাগুলি বাঁচাতে তৎপর ছিলেন আরামবাগের চাষীরা। কিন্তু গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি তাদের শেষ আশাও ধুইয়ে দিয়েছে। তাদের মনে আশঙ্কা যদি এইভাবে লাগাতার বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে আলুর ফলন রক্ষা করা কীভাবে যাবে? তাদের আশঙ্কা ধারদেনা করে শুরু করা এবারের আলুচাষ বৃষ্টি এসে শেষ করে দিল।
তারপরও চাষীরা আলু গাছ বাঁচাতে তৎপর ছিলেন। আবারো রাত থেকে বৃষ্টিপাত চাষীদের সবকিছু আশা শেষ করে দিয়েছে। তবুও এই প্রবল বৃষ্টি থেকে আলু জমিকে রক্ষা করতে তৎপর হয়েছে চাষিরা। প্রশ্ন একটাই যদি এইভাবে লাগাতার বৃষ্টিপাত হয় তাহলে কি আলু জমিগুলো রক্ষা পাবে? চাষীদের আশঙ্কা সবকিছুই শেষ হয়ে গেল। ধারদেনা করে আলু লাগিয়েছিলেন সমস্ত টাকা পয়সাই জলে গেল।
এই ব্যাপারে আরামবাগের স্থানীয় চাষী চন্দন ঘোষ বলেন, ‘কাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। আমাদের আলুগাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আর কয়েক ঘণ্টা জল হলে চারাগুলোও ডুবে যাবে দেখা যাবে না। ইতিমধ্যেই হাওয়ায় চারাগাছ ভেঙে গেছে। এখনও দুদিন বৃষ্টি হবে বলা হচ্ছে, তার মানে আমরা একেবারে শেষ হয়ে যাব। আমাদের সবটাই ক্ষতি হয়ে যাবে, আগের বারও হয়েছিল এবারও হবে।’
অন্যদিকে বুদ্ধদেব গোস্বামী নামে আরেক চাষী বলেন, ‘যা অবস্থা গাছগুলো সব পচে গিয়ে মরে যাবে। প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাবে। জমিতে জল বের করার রাস্তা কাটছি তাতেও কিছু হচ্ছে না। জল জমে আছে গাছ পচে প্রচুর ক্ষতি হবে। আমাদের এই ক্ষতিপূরণ হবে না, ভগবান জানেন কী হবে।’ আরেক চাষী সুভাষ দে বলেন, ‘ প্রথমবারের চাষ নষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আবার চাষ করা হল। দ্বিতীয়বারের চাষ অর্ধেকও হয়নি তার আগেই এত বৃষ্টি যে মনে হচ্ছে আলুর ফলন আর হবে না, এরপরও যদি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে তাহলে সমস্ত আলুই নষ্ট হয়ে যাবে। চাষীরা শেষ হয়ে গেল। এরপর আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব কে জানে। সব জল বের করা যাচ্ছে না, কীভাবে দেনা শোধ করব, কীভাবেই বা সংসার চালাব ভেবে মাথায় হাত পড়েছে।