দেড় ঘণ্টায় কি সমঝোতার বার্তা? অধিকাবী বাড়িতে পিকে-র ঝটিকা সফরে কী বলছেন ‘দাদা’র অনুগামীরা
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘দেড় ঘণ্টা’টা এখন বড্ড বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতিগতি ঠাহর করতেই হিমশিম খাচ্ছে শাসকদল। নিত্যদিন একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে কাঁথির (Contai) অধিকারী বাড়িতে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prasant Kishore) ঝটিকা সফর। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি যেন কোনও টানটান উত্তেজনাময় […]
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘দেড় ঘণ্টা’টা এখন বড্ড বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতিগতি ঠাহর করতেই হিমশিম খাচ্ছে শাসকদল। নিত্যদিন একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে কাঁথির (Contai) অধিকারী বাড়িতে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prasant Kishore) ঝটিকা সফর। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি যেন কোনও টানটান উত্তেজনাময় পলিটিক্যাল বেসড চিত্রনাট্যের প্রেক্ষাপট!
বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ আচমকাই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যান পিকে। আকস্মিক ঘটনায় প্রত্যেকেই মনে করেছিলেন হয়তো বা শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনেই এটা শাসকদলের নতুন উদ্যোগ। কিন্তু বাড়িতে সেসময় ছিলেনই না শুভেন্দু। শুরু হয় আরেক জল্পনা। তবে কী করতে গিয়েছিলেন পিকে। সূত্রের খবর, দেড় ঘণ্টা কেবল শিশির অধিকারীর সঙ্গেই কথা বলেছেন তিনি। কথা হয়েছে ভোটের রণকৌশল নিয়ে।
অধিকারী বাড়িতে যখন পিকে, তখন অন্যান্য কর্মসূচিতে জেলার বাইরে শুভেন্দু। আর এদিকে গোটা কাঁথির তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশের আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা। ‘হঠাত্ পিকে! তাঁর তো আসার কথা শুনিনি!’ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বেশিরভাগেরই মুখে তখন বিস্ময়ের ছাপ, মনে একগুচ্ছ প্রশ্ন! অনেকেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন টিভি দেখেই। তবে অধিকারী বাড়িতে কাটানো পিকে-র দেড় ঘণ্টা এখন একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে তৃণমূলের দুই শিবিরের কাছেই। অর্থাত্ ‘দিদি’ ও ‘দাদা’ অনুগামীরাই ভাবছেন, এর পরের মোড়টা কী হতে চলেছে।
অধিকারী বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে অত্যন্ত সচেতনভাবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে নিশ্চুপ অধিকারী পরিবার। কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শুভেন্দু অধিকারীর। তবে পিকের ঝটিকা সফর নিয়ে তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যা, শিশির অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি, তাই একুশকে সামনে রেখেই নির্বাচনী রণকৌশল নির্ধারণে বৈঠক করতে এসেছিলেন তিনি।
আবার অন্যদিকে, শুভেন্দু অনুগামীদের ব্যাখ্যা, নেত্রী ভালই বুঝতে পারছেন, ‘শুভেন্দুদা’র অভিমানের কথা। তাই মানভজ্ঞন করাতে প্রশান্ত কিশোরকে পাঠিয়ে শেষ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা ‘দাদা’র ওপর কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁর অনুগামীদের মধ্যেই। তৃণমূলের এই সমঝোতার বার্তায় কি আদৌ চিঁড়ে ভিজবে, তা অবশ্য আগামী কিছুদিনের স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।