Bardhaman Medical College: বাবার হাতে মৃত শিশুকন্যার বদলে মৃত পুরুষ শিশু তুলে দিল হাসপাতাল, পরে বলল, ‘টাইপিং মিসটেক’

Manatosh Podder | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 06, 2025 | 10:36 PM

Bardhaman Medical College: জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানা এলাকার আখিনা গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা কৈবর্ত। গত ২ জানুয়ারি বর্ধমানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে ৩ জানুয়ারি বর্ধমান হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়।

Bardhaman Medical College: বাবার হাতে মৃত শিশুকন্যার বদলে মৃত পুরুষ শিশু তুলে দিল হাসপাতাল, পরে বলল, টাইপিং মিসটেক
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত শিশুর বাবা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বর্ধমান: হাসপাতালের সামনে হাউহাউ করে কাঁদছেন বাবা। দাবি একটাই, ‘আমার মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিন….”। কিন্তু কেন? কী হয়েছে? পরিবারের দাবি, তাঁদের কন্যা সন্তান মারা গিয়েছে। কিন্তু মৃত শিশুকন্যার বদলে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মৃত একটি পুরুষ সন্তান। পরে রোগীর পরিবার বিক্ষোভ দেখাতেই দ্রুত নিজেদের নিজেদের ভুল শুধরে নিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানা এলাকার আখিনা গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা কৈবর্ত। গত ২ জানুয়ারি বর্ধমানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে ৩ জানুয়ারি বর্ধমান হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। ৫ই জানুয়ারি রাতে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, শিশুটি মারা গেছে। অভিযোগ, পরিবার মৃতদেহ নিতে গিয়ে দেখে শিশুকন্যার পরিবর্তে মৃত পুরুষ সন্তান দেওয়া হচ্ছে। পরিবার মৃত শিশুর দেহ নিতে অস্বীকার করলে তাদের জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, অসহায় পরিবার জানতেই পারেনি তাদের বাচ্চা জীবিত নাকি মৃত। তাদের আশঙ্কা ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল শোধরাতে গিয়ে তাদের বাচ্চার সঙ্গে খারাপ কিছু করে দিতে পারে। চরম দুশ্চিন্তায় হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে শিশুর পরিবার। কিন্তু এই ক্ষোভের আঁচ পেয়ে তড়িঘড়ি আসরে নামেন কর্তৃপক্ষ। তারা এরপরে মৃত কন্যা সন্তানের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এটি টাইপের ভুল। কিন্তু এই মারাত্মক গাফিলতি, দায়িত্বহীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও, হাসপাতালের সুপারের বক্তব্য, তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ঘটনার সম্বন্ধে তিনি খোঁজ খবর নেবেন।

মৃত শিশুর বাবা বলেন, “ওর শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল। আমরা হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডাক্তার একবারও বাচ্চার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। একদিন বলছে ভাল আছে। একদিন বলছে জন্ডিস হয়েছে। বিকেলের দিকে বলল বাচ্চার অবস্থা ভাল না। আর কিছু করা যাচ্ছে না। রাতের বেলা বলা হল মারা গিয়েছে। একটা ফর্মে সাইন করায়। ডেথ সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দেখি মেল। মৃতদেহ নিতে গিয়ে দেখি পুরুষ সন্তান। আমরা বলছি কন্যা সন্তান কিছুতেই শুনছে। আমায় বের করে দিল। পরে মেয়ের মৃতদেহ হাতে তুলে দেয়।”

Next Article