বর্ধমান: রানাঘাটের ১১২ ফুট পুজো, টিটাগড়ের ওয়াগন লিমিটেডের পুজোর পর এবার বর্ধমানের শালবাগানের পুজো। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ অসহযোগিতা’ র অভিযোগ তুলে পুজো না করার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমানের শালবাগানের সর্বমিলন সঙ্ঘ। প্রত্যেক বছরই এই ক্লাব বড় করে পুজো করে। এবারেও তাদের থিমে পাহাড়। বৈষ্ণদেবী মন্দিরের আদলে তৈরি থিম প্যান্ডেলে প্রায় বাইশ ফুট উঁচুতে উঠতে হয়। গত কয়েকদিন আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে প্যান্ডেলে চড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
সর্বমিলন সঙ্ঘের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, তারা সেই মোতাবেক কিছু সংশোধন করে প্যান্ডেলের কাজ ওদলবদল করে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুত করেন। তবুও প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা পুজো সাজিয়েছেন। উঁচুতে না উঠে ঠাকুর দেখতে হলে এই মণ্ডপের কোনও আকর্ষণ থাকবে না। তাই তাঁরা পুজো না করার কথাই ভাবছেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দুর্গাপুজা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে সুকান্ত দাস জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সংগঠন আগামী ১৪ তারিখে যে কার্নিভাল হবে তাতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছে, এরই মধ্যে সকলে পুজো দেখতে আসছেন। তাঁরা মণ্ডপের বাইরে থেকে ফেরত যাচ্ছেন। থিম না দেখতে পাওয়ার আক্ষেপ সাধারণ দর্শনার্থীদের। আর পুজো করতে না পেরে ভেঙে পড়েছেন উদ্যোক্তারাও।
উল্লেখ্য, এর আগে রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গাপুজোর অনুমতি পাওয়া নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। হাইকোর্ট নদিয়ার মহকুমাশাসককে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু শেষমেশ দীর্ঘ জটিলতার মাঝে সর্বস্ব পুঁজি হারিয়ে পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তারা। টিটাগড়েও একটি বহু পুরনো পুজো প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াগন লিমিটেডের পুজো রেললাইনের ধারেই হয়ে থাকে। কিন্তু এবার অনুমতি মেলেনি।