Burdwan: একই নামে দুই গ্রাম! বাড়ি ফিরতে গিয়ে নাবালিকা যেখানে পৌঁছল…
Burdwan: খুশি খাতুন, বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার আলিনগর গ্রামে। খুশি তার মাসির বাড়ি খালতীপুর বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে গত বুধবার মেসোমশাই তাকে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য বাসে চাপাতে যায়। কিন্ত গোল বাঁধে খুশির।

বর্ধমান: গ্রামের নামে বিভ্রাট, আর তাতে বিভ্রান্তি। গ্রামের নাম এক হয়ে যাওয়াতেই দেড়শো কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে অন্য গ্রামে নাবালিকা। নাম তো ঠিকই আছে, কিন্তু গন্ডগোল অন্য জায়গায়। আসলে ভ্রান্তি বিলাস। তাই পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে পৌঁছে দিশেহারা হল এক নাবালিকা। তবে শেষমেশ পুলিশের সহযোগিতায় নাবালিকা বাড়ি ফিরল।
খুশি খাতুন, বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার আলিনগর গ্রামে। খুশি তার মাসির বাড়ি খালতীপুর বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে গত বুধবার মেসোমশাই তাকে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য বাসে চাপাতে যায়। কিন্ত গোল বাঁধে খুশির। বাসে না চেপে ফরাক্কার উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠে। খুশি ভুল ট্রেনে চেপে ঘুমিয়ে পড়ে। সমস্যা আরও বাড়ে। যখন খুশির ঘুম ভাঙে, চোখ খুলে দেখে কাটোয়া রেল স্টেশনে চলে এসেছে।
এরপর খুশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে আলিনগর যাব কোন ট্রেনে! স্থানীয় মানুষজন আলিনগর মানে ভাবে ভাতারের আলিনগর। তাঁরা কাটোয়া বর্ধমান ট্রেনে তাকে চাপিয়ে দেন। খুশি কাটোয়া বর্ধমান লোকাল ট্রেন যখন চেপেছিল, তখন সে বুঝতে পারে আবার সে ভুল ট্রেনে চেপে পড়েছে। তারপর সে বলগোনা স্টেশনে নেমে পড়ে।খুশি খুব ভয় পেয়ে যায় । খবর যায় ভাতার থানায়। বৃহস্পতিবার খুশিকে উদ্ধার করে পুলিশ ভাতার থানায় নিয়ে যায়। তারপর দীর্ঘক্ষণ থানায় জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ে উল্টোপাল্টা বলছিল ওই নাবালিকা। তবে গ্রামের নাম আলিনগরই বলে।
এরপর অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় যে খুশির বাড়ি ফারাক্কার আলিনগরে। এরপর ফারাক্কা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে শুক্রবার খুশিকে পুলিশ তুলে দেয় পরিবারের হাতে। দুটি গ্রামের নাম এক হলে যে এত সমস্যা হতে পারে খুশি তা দেখিয়ে দিল। তবে তার পরিবারের লোকজন ভাতার থানার পুলিশের কাজে আপ্লু্ত।

