Burdwan: জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করায় ‘আক্রান্ত’ প্রতিবাদী
Burdwan: খবর পেয়ে যান রাহুলের বাবা। এলাকার কয়েকজন রাহুলকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাহুল-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এলাকার অন্যান্য মানুষজন বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
বর্ধমান: এলাকায় জুয়ার ঠেক। আর তাকে ঘিরে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদীদেরই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। আহত বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনার সূত্রপাত বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নীলপুর শক্তিপাড়া এলাকায় বিবেকানন্দ স্ট্যাচুর পাশে দীর্ঘদিন ধরেই চলে জুয়ার আসর। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে জুয়া খেলার পাশাপাশি মদের আসর ও উচ্চস্বরে চলছিল গালিগালাজ। স্থানীয় কয়েজকজন প্রতিবাদ করায় সেদিনই তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁদেরকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় ফোন করা হলেও কেউ ফোন তোলেনি। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কয়েকজন কাউন্সিলরকে জানান এবং বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যাচ্ছে, এরপর প্রতিবাদীদের মধ্যে একজন রাহুল দাস বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় চৌরঙ্গী মোড়ে কালু গুহ, দীপিক গুহ, বাবাই ঘোষ, কার্তিক ঘোষ, রিজু-সহ বেশ কয়েকজন তাঁদের ওপর লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে যান রাহুলের বাবা। এলাকার কয়েকজন রাহুলকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাহুল-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এলাকার অন্যান্য মানুষজন বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। বর্ধমান হাসপাতালে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন।
ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ ঘোষপাড়া এলাকায় এই জুয়োর ও সাট্টার রমরমে কারবার চলে এলাকায় একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এদের দৌরাত্ম্য কমেনি। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামতেই বিবেকানন্দ স্ট্যাচুর সামনে কয়েকজন দুষ্কৃতীরা জুয়ার আসর বসায়। এতে সাধারণ পথচলতি মানুষজনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এর একটা বিহীত চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে ক্লাবের কর্মকর্তা সকলেই চাইছেন পুলিশ আরও সক্রিয় হোক।