House-Wife Death: গলায় কালশিটের দাগ, ঘরে অ্যাসিডের গন্ধ! প্রতিবেশীরা বলছে, ‘মেয়েদের সঙ্গে চলত দিন-রাত নোংরামো’
House-Wife Death: চার বছর আগে বর্ধমানের সুকান্ত নগরের বাসিন্দা পার্থ ঘোষের সঙ্গে পৃথার বিয়ে হয়ে। তাঁদের তিন বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। বুধবার সকালে ফোন যায় পৃথার বাড়িতে।
বর্ধমান: বাড়ি থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ বের করতে দিচ্ছে না প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, স্বামী সহ গোটা পরিবারের শাস্তি না দেওয়া হলে মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। ওই বাড়িতে তালা লাগিয়ে দিতে হবে বলেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরের সুকান্ত নগরে। এলাকায় যাকেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, সবার মুখে একই কথা- ‘অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। মহিলাদের বাড়িতে নিয়ে আসত ও।’ প্রতিবেশী থেকে পরিবার, সবাই বলছে, এটা কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু বা আত্মহত্যা নয়। খুনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
মৃতার নাম পৃথা ঘোষ। তাঁর বাপের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার হিজলনায়। চার বছর আগে বর্ধমানের সুকান্ত নগরের বাসিন্দা পার্থ ঘোষের সঙ্গে পৃথার বিয়ে হয়ে। তাঁদের তিন বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। বুধবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে পৃথার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ময়নাতদন্তের পর শ্বশুরবাড়িতেই মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। পৃথার পরিবারের অভিযোগ, পণের বকেয়া নগদ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত প্রায় দিনই। আরও অভিযোগ, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিলেন পৃথা। সেই কারণেই পৃথাকে খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মৃতার বাবা অবনী দত্তের।
ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মৃতার স্বামী পার্থ ঘোষ। তাঁর বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বিয়ের শুরুর দিন থেকেই শুধুই মিথ্যা কথা! ছেলে পুরসভায় চাকরি করে বলে বিয়ে দেয় পরিবার। পরে জানা যায়, তিনি সুদের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া অভিযুক্তের পুরনো সম্পর্কের কথাও গোপন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এক প্রতিবেশী জানান, তিনি যখন ওই বাড়িতে যান, দেখেন পৃথার গলায় কালশিটে পড়া দাগ। তখন সদ্য মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, অত লম্বা যুবতী টুল ছাড়া গলায় ফাঁস লাগানো সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, ঘরে কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধে টেকা যাচ্ছে না অর্থাৎ অ্যাসিড দিয়ে ঘর মোছা হয়েছে। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।