Congress: হঠাৎ কেন বাম নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলের রাস্তায় কংগ্রেস? নেপথ্যে অধীরের হাত?
Congress: সূত্রের খবর, ১৩ নভেম্বরে এ রাজ্যে ৬ আসনের উপনির্বাচনে জোটের জন্যও চেষ্টা করেছিলেন অধীর। অতীতে বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড এ বাম এবং কংগ্রেসের বোঝাপড়ার প্রসঙ্গ তুলে কথা বলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতা কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে।
কলকাতা: উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে যোগাযোগ না করে হঠাৎ করে কেন সোমবার দুপুরের পর থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হল বামেদের সঙ্গে? সূত্রের দাবি, এর পিছনে রয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীর সক্রিয় ভূমিকা। অতীতেও বঙ্গে বামের সঙ্গে জোটের তৈরিতে সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছিল অধীরের।
সূত্রের খবর, ১৩ নভেম্বরে এ রাজ্যে ৬ আসনের উপনির্বাচনে জোটের জন্যও চেষ্টা করেছিলেন অধীর। অতীতে বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড এ বাম এবং কংগ্রেসের বোঝাপড়ার প্রসঙ্গ তুলে কথা বলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতা কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে। বেণুগোপালকে বঙ্গে জোটের প্রয়োজনীয়তা বোঝান অধীর। সূত্রের খবর, এরপরেই বেণুগোপাল কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের সঙ্গে।
এও জানা যাচ্ছে, প্রদেশ সভাপতিকে বামেদের সঙ্গে জোটের বিষয়টি দেখতে বলেন বেণুগোপাল। তারপরেই বিধান ভবন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে বলে খবর। যদিও শোনা যাচ্ছে বামেদের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে খুব একটা ইচ্ছে নেই বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। দলীয় সূত্রে খবর, গত লোকসভা নির্বাচনেও ‘একলা চলো’ নীতির পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন শুভঙ্কর। যদিও ভিন্ন মত পোষণ করেছিলেন অধীর। বাকি তো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ভোটের ময়দানেই। সূত্রের খবর, শুধু শুভঙ্কর একা নন, রবিবার সন্ধ্যার বৈঠকে উপস্থিত থাকা ওই অনেক কংগ্রেস নেতাই ‘একলা চলো’ র পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। সেই ‘একলা চলো’র পক্ষে সওয়াল রেজলিউশন আকারে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে। শুভঙ্কের দাবি ছিল, স্থানীয় নেতৃত্ব চাইছেন একাই লড়তে, তাই তিনিই হাঁটতে চান একই পথে।