Burdwan: কলেজে গভর্নিং বডির বৈঠকে অধ্যক্ষকে ঢুকতে বাধা, হুলস্থুল কাণ্ড বর্ধমান রাজ কলেজে

Burdwan: কী কারণে এমন ঘটনা? অধ্যক্ষের অভিযোগ, জেনারেল বডির বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।

Burdwan: কলেজে গভর্নিং বডির বৈঠকে অধ্যক্ষকে ঢুকতে বাধা, হুলস্থুল কাণ্ড বর্ধমান রাজ কলেজে
বর্ধমান রাজ কলেজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 8:31 PM

বর্ধমান: ফের চর্চায় বর্ধমান রাজ কলেজ। মঙ্গলবার কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডলকে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিষয়টি নিয়ে এদিন বর্ধমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল দাবি করেন, ডঃ সনৎ কুমার মানিক, ডঃ বিজয় চাঁদ এবং ডঃ নিরুপমা গোস্বামীর নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত শিক্ষকদের জেনারেল বডির বৈঠকে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তাঁদের অযথা হয়রানি করে। কিন্তু কী কারণে এমন ঘটনা? অধ্যক্ষের অভিযোগ, জেনারেল বডির বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।

পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, গভর্নিং বডির বৈঠকে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং কলেজ চত্বরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, যাঁরা বাধা দিয়েছেন, তাঁরা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামী। যদিও এই বিষয়ে বিধায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক বিজয় চাঁদও। তাঁর স্পষ্ট দাবি, কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হোক বলেও জানাচ্ছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিধায়কের মদত থাকতে পারে, আর মদত থাকার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। উনি থানায় গিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন। নিশ্চয়ই পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করবে। আমাদের দল কখনও কোনও কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর হস্তক্ষেপ করে না। যদি কেউ অধ্যক্ষকে কলেজে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে, তবে তা অন্যায়। আমরা এটিকে সমর্থনও করি না। বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে কেউ এই কাজ করছে কি না, সেটিও দেখা প্রয়োজন।”

তবে বিষয়টি নিয়ে ইস্যু করতে ছাড়ছে না অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এবিভিপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত কাজরি বলছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তৃণমূল রাজনৈতিক পার্টি অফিসে পরিণত করছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এর জন্য অসুবিধায় পড়ছে। বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”