TMC Clash: মারামারি, ফাটছে মাথা; গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগে জেরবার শাসকদল
Purba Burdwan: স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুবক্করে অভিযোগ, গ্রামেরই মহম্মদ মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে গ্রামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিলেন কয়েকদিন ধরেই।
পূর্ব বর্ধমান: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের গলসি। সোমবার গলসি-১ ব্লকের পারাজ গ্রামপঞ্চায়েতের জাগুলিপাড়া গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথাও ফেটে যায়। দু’পক্ষের মারামারিতে উভয়পক্ষেরই মোট পাঁচজন জখম হন। ঘটনায় আহতরা সকলেই জাগুলিপাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এলাকার লোকজনের দাবি, আহতরা সকলেই শাসকদলের কর্মী সমর্থক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মহম্মদ মোল্লা ও শেখ আবুবক্কর নামে দু’জনের আলাদা গোষ্ঠী রয়েছে। এই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। বর্তমানে দু’জনই আবার গলসি-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, ঝামেলা বহুদিনের। রবিবার চাদা তোলাকে কেন্দ্র করে সেই ঝামেলাই চরম আকার নেয়। এরপরই এক গোষ্ঠীর লোকজন অন্য গোষ্ঠীর উপর চড়াও হন। ঘটনায় মাথায় আঘাত লাগে এক তৃণমূল কর্মীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের স্থানীয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুবক্করে অভিযোগ, গ্রামেরই মহম্মদ মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে গ্রামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিলেন কয়েকদিন ধরেই। এ নিয়ে রবিবার গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা রুখে দাঁড়ান। কোনও ঝামেলা চলবে না বলে বার্তা দেন। এরপরই অশান্তি শুরু। তিনিই জানান, মহম্মদ মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেস করেন। পাশাপাশি তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত আছেন ১৯৯৮ সাল থেকে।
যদিও এ নিয়ে আবুবক্করের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পেলে তা এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে। তবে এই ঘটনাকে সামনে রেখে জোর তরজা এলাকায়। বিজেপিও তোপ দেগেছে। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তোলাবাজি নিয়ে অশান্তি।”