পূর্ব বর্ধমান: পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য খোলা হয়েছিল ‘হেল্প ক্যাম্প’। সেই হেল্প ক্যাম্প ঘিরেই তুমুল অশান্তি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে। পরীক্ষার্থীরা ‘হেল্প’ কী নেবেন, এমন কীর্তি দেখে তারা তো হতবাক! আজ শুক্রবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বর্ধমানের বিদ্যার্থী গার্লস স্কুলের সামনে এদিন এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্কুলের সামনে হেল্প ক্যাম্প নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর ও এসএফআইয়ের সদস্যদের বচসা বাধে। এসএফআই সদস্যরা জানান, প্রতি বছরই তাঁরা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে হেল্প ডেস্ক খোলেন। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
এসএফআই সদস্যদের অভিযোগ, আচমকাই সেখানে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী। কার্যত মারমুখী হয়ে সকলকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কাউন্সিলর সনৎ বক্সী বলেন, “আমি এখানকার কাউন্সিলর। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক কোনও লোকজন, পোস্টার কিছুই নেই। কারণ এখানে তো পরীক্ষা চলছে। সবটা তো প্রশাসন দেখছে। আমাকে অভিভাবকরা ফোন করে জানান, গেট ব্লক করে সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে পার্টির লিফলেট দিচ্ছে।”
কাউন্সিলরের দাবি, ছাত্র রাজনীতি করার জন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরা সকলে নাবালক-নাবালিকা পরীক্ষা দিতে এসেছে। এখানে এসবের অর্থ কী? এটুকুই তিনি বলেছেন বলে দাবি করেন। পাল্টা এসএফআই জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী বলেন, “আমরা প্রতিটা স্কুলের সামনেই হেল্প ক্যাম্প করছি। সেখানে তৃণমূলের নেতা এসে ঝামেলা করতে থাকেন। মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি।” যদিও এই ছাত্রনেতার দাবি, এই ঘটনার পর ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। তাতে ওই জনপ্রতিনিধি চলেও যান। এরপর হেল্প ক্যাম্প চলেছে।