Road Accident: স্টিয়ারিং হাতে চোখে ঘুম চালকের, জাতীয় সড়কে মৃত ৩ অ্যাম্বুলেন্স সওয়ারি, জখম আরও ৩
Road Accident: জখম তিনজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

জামালপুর: ভোররাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে। লরির পিছনে ধাক্কা অ্য়াম্বুলেন্সের। মৃত্যু ৩ জনের। জখম আরও ৩। তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের জামালপুরের মুসুণ্ডা এলাকায়। মৃত্যু হয়েছে গৌতম দাস(৫৫), বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৫২), বিধান রুইদাসের (৩৫)। এরমধ্যে গৌতমের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার যশোর রোডে। বিশ্বজিতের বাড়ি দুর্গাপুরে। তিনি অ্য়াম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ান বিধানের বাড়ি বীরভূমের জয়দেবে। তিনিই চালাচ্ছিলেন অ্য়াম্বুলেন্স।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের একটা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দমদমে এক রোগীকে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই শনিবার ভোরে আনুমানিক সাড়ে তিনটের সময় এ ঘটনা ঘটে। এই তিন ব্যক্তি ছাড়াও অ্যাম্বুলেন্সে আরও তিন জন ছিলেন। তাঁরাও জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
জখম তিনজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মৃত গৌতম দাসের আত্মীয় শুক্লা মৈত্রও বলছেন সে কথা। তিনি বলছেন, অ্যাম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ানের তিন আত্মীয় কলকাতা থেকে দুর্গাপুর ফিরছিল ওই অ্যাম্বুলেন্সেই। অ্যাম্বুলেন্স ফাঁকা থাকায় তারা কলকাতা থেকেই ওঠে। রাস্তায় চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই বিপত্তি।
