Katwa: ‘এলাকায় থাকেন না কোনও সংখ্যালঘু, তবুও সফিউদ্দিন-রসিনা-বিউটি খাতুনদের নাম এল কীভাবে?’ লিস্ট দেখিয়ে প্রশ্ন বিজেপির
Purba Bardhaman: কয়েকদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নথি দেখিয়ে বলেছিলেন, কোথায়-কোথায় ভুতুড়ে ভোটার রয়েছে। তেমনই এবার পাঁচ ভুতুড়ে খোঁজ মিলল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে।

মঙ্গলকোট: আপাতত বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় বাঙালি অস্মিতা ইস্যু ও এসআইআর (SIR)। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে, ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে সরব বিজেপি। কয়েকদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নথি দেখিয়ে বলেছিলেন, কোথায়-কোথায় ভুতুড়ে ভোটার রয়েছে। তেমনই এবার পাঁচ ভুতুড়ে খোঁজ মিলল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে। গোটা গ্রামে কোনও সংখ্যালঘু নেই, অথচ লিস্টে জ্বলজ্বল করছে নাম দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এই ভাবে সংখ্যালঘুদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত করছে পদ্মশিবির। এমন দাবি তৃণমূলের।
মঙ্গলকোট বিধানসভার সরগ্রাম অঞ্চলের ১২ টি বুথে ভোটার তালিকায় চার মহিলা সহ পাঁচ ভোটারের নামকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় কোনও সংখ্যালঘু থাকেন না অথচ তাঁদের নাম রয়েছে। স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, “আমাদের এলাকায় কোনও সংখ্যালঘু নেই। যদি নাম থাকেও ওরা ভোট দিতে পারে না।” এদিকে, ভোটার তালিকার ‘ভূত’ তাড়াতে আসরে বিজেপি নেমেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সংখ্যালঘু ভোটারদের নাম বাদ দিতে এই সব করছে বিজেপি।
কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক বলেন, “বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনও ভুতুড়ে ভোটারের নাম থাকলে তা বাদ যাবে।” বৈঁচি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, এই পাঁচ ভোটারকে কেউ চেনে না। বৈঁচি গ্রাম ছাড়াও আশপাশ গ্রামে এদের দেখা যায়নি। তাহলে ভোটার তালিকায় এদের নাম কীভাবে? মঙ্গলকোটের ১ নম্বর মণ্ডলের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবজিৎ দে বলেন, “ভোটার লিস্টে হঠাৎ করেই দেখছি পাঁচজন সংখ্যালঘুর নাম। হতে পারে রোহিঙ্গা ভোটার ঢুকে গেছে। এখানে পাঁচজনের নাম রয়েছে রাখি খাতুন, বিউটি খাতুন, রসিনা খাতুন, সফিউদ্দিন শেখ, হালিউদ্দিন বেগম। এদের গ্রামে অস্তিত্ব নেই। মনে হচ্ছে তৃণমূলই ঢুকিয়েছে।”
কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুশান্ত পাঁজা বলেন, “ভুতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করে কয়েক বার আমরা প্রথম কমিশনে অভিযোগ জানাই। নম্বর দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই নাম তুলেছে তৃণমূল দলকে বদনাম করার জন্য।”

