Mangalkot Blast Case: অনুব্রতরা বেকসুর খালাস, মঙ্গলকোটের কেবুলাল বলছেন, ‘বিচার পেলাম কই?’
Mangalkot Blast Case: শুক্রবার বিধাননগর এমপিএমএলএ আদালতে অনুব্রত-সহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস হয়েছেন মঙ্গলকোটের ওই মামলায়। তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
মঙ্গলকোট : কোনও অন্যায় করিনি তাই বেকসুর খালাস করা হয়েছে। শুক্রবার আদালত থেকে বেরিয়ে এমনটাই বলেছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুধু অনব্রত নন, মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রত সহ ১৫ জনই বেকসুর খালাস হয়েছেন। কিন্তু, ওই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁরা কী বলছেন? ১৫ জন এ ভাবে অব্যাহতি পাওয়ায় অভিযোগকারী বলছেন, ‘বিচার পাইনি।’
বাম আমলে, ২০১০ সালের ওই মামলায় অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে। অনুব্রত-সহ সব অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ায় যিনি বোমায় আহত হয়েছিলেন, তিনি ক্ষোভে ফুঁসছেন। আদালতের রায়ে খুশি নন আহতরা। তাঁদেরকে কোনও নোটিস না দিয়ে কেন অভিযুক্তদের খালাস করে দেওয়া হল, সেটাই মেনে নিতে পারছেন না কেবুলাল শেখ, মতিহার রহমানেরা।
কেবুলাল জানান, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল, বোমাও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। বোমায় তাঁর হাত উড়ে গিয়েছিল। তাঁর দাবি, ওই সময় অনুব্রত-সহ ওই ১৫ জন ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এত বড় ঘটনায় ওরা খালাস হয়ে গেল। আমি জানতে পারলাম না। আমার যে এতবড় ক্ষতি হয়েছে। আমি বিচার পেলাম কই?’
এ দিন বিধাননগর এমপিএমএলএ আদালতে ছিল এই মামলা। মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। গ্রামে বোমাবাজিও হয় সে দিন। সে সময় কেবুলাল শেখ নামে এক সিপিএম কর্মীর হাত উড়ে যায়। তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় ওই ঘটনা ঘটে।
শেখ শাহনাওয়াজ,তাঁর ভাই কাজল শেখ, আজাদ মুন্সি( যিনি বর্তমানে মৃত) ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান-সহ ১৫ জনের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। প্রথমে এই মামলা কাটোয়া আদালতে চলে। পরে এমপি এমএলএ আদালতে পাঠানো হয় সেই মামলা। এ দিন বেকসুর খালাস হওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? শুধু দেখে যান…আর দেখে যান।’