AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalna: রাজবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর বুকে ‘ধাক্কা’, পুরসভার চেয়ারম্যানের ‘দাদাগিরি’ ঘিরে বিতর্ক

Kalna: ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে কালনা রাজবাড়ির লালাজি এবং কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির। যার দেখভাল ও নিরাপত্তার দায়িত্বে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গতকাল রাজবাড়ির একটি মন্দিরের একটি ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জলের জার নিয়ে একটি টোটো ঢুকতে গেলে বাধা দেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিরাপত্তা রক্ষীরা।

Kalna: রাজবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর বুকে 'ধাক্কা', পুরসভার চেয়ারম্যানের 'দাদাগিরি' ঘিরে বিতর্ক
পুরসভার চেয়ারম্যানের 'দাদাগিরি'Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2024 | 3:55 PM
Share

কালনা: কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের ‘দাদাগিরি’ ভিডিয়ো ঘিরে জোর বিতর্ক। পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধরের অভিযোগ। জানা যাচ্ছে,  পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রিত রাজবাড়ি চত্বরে জোর করে টোটো নিয়ে ঢুকতে গেলে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই উত্তেজিত হয়ে এক নিরাপত্তা রক্ষীকে ঠেলে ফেলে হুমকি দিয়ে টোটো নিয়ে চলে যান কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত।

ঘটনার মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজবাড়ি মূল গেট দিয়ে টোটো নিয়ে জলের জার নিয়ে ঢুকতে যান পৌরপ্রধান। তখন টোটো নিয়ে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা জানান টোটো নিয়ে ভেতরে ঢোকা যাবে না। এরপরে দেখা যায় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দদত্ত ছুটে যান এবং সেই নিরাপত্তারক্ষীকে ঠেলে ফেলে সরিয়ে দেন। এরপর তাঁকে হুমকি দিতেও ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়।

ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে কালনা রাজবাড়ির লালাজি এবং কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির। যার দেখভাল ও নিরাপত্তার দায়িত্বে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গতকাল রাজবাড়ির একটি মন্দিরের একটি ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জলের জার নিয়ে একটি টোটো ঢুকতে গেলে বাধা দেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা জানান যে, নিয়ম অনুযায়ী টোটো রাজবাড়ির ভিতরে ঢুকবে না। এই নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুরো বিষয়টি রিপোর্ট আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এই বিষয়ে পুর প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোন করা হলে ফোন ধরেননি তিনি।

তবে এবিষয়ে বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগের বক্তব্য, “একজন জনপ্রতিনিধির কখনই এরকম আচরণ কাম্য নয়। কারণ মানুষ তো সমস্যার পড়লে জনপ্রতিনিধিদের কাছেই আসে। কখনও প্রশাসনের কাছে যায়। জনপ্রতিনিধিদের সংযত থাকা উচিত। তাঁর এই ধরনের আচরণ করা উচিত হয়নি। দলও এই কাজ সমর্থন করে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”