Kalna TMC: ‘আমার ছেলে স্মার্ট’, সরকারি স্কুলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ পুরপিতা
Kalna TMC: বিজেপি নেতার দাবি, তৃণমূল ইডি-সিবিআই-এর ফাঁদে কার্যত দিশেহারা। তাই অবস্থান বুঝতে পারছেন না।
কালনা: আমার ছেলে বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়ে, তার স্মার্টনেস দেখলে রাজ্যের স্কুল লজ্জা পেয়ে যাবে। খোদ শাসক দলের পুরপিতার এমন মন্তব্যে বিতর্ক চরমে। কালনা পুরসভার চেয়ারপার্সন তথা পুর পিতা আনন্দ দত্তের মন্তব্য ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও। তাঁর দাবি, তাঁর ছেলের স্মার্টনেস দেখলে কালনার অন্যান্য সরকারি স্কুলগুলো লজ্জা পেয়ে যাবে। তাঁর মতে, স্মার্টনেসটাই প্রথমে দরকার।
বুধবার পুলিশের উদ্যোগে কালনায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সূচনা হয়। সেই অনুষ্ঠানে এসেই এমন মন্তব্য করেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর কথাতেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অথচ সেই একই অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ সরকারি স্কুলের পক্ষে কথা বলেন। কেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সরকারি স্কুলের প্রতি এত অনীহা! সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দেবপ্রসাদ বাবু বলেন, ‘সরকারি স্কুল থেকেও ভাল ছাত্র তৈরি হয়।’
শাসক দলে থেকে, একজন চেয়ারপার্সন হয়েও সরকারি স্কুলের মানোন্নয়ন নিয়ে কীভাবে প্রশ্ন তুললেন আনন্দ দত্ত? অনুষ্ঠান শেষে আনন্দ দত্তের এই মন্তব্য নিয়ে তাঁর কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘ওঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে উনি বলেছেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ অন্য।’
কালনায় পুরপিতার বিতর্কিত মন্তব্যে বিজেপি জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইডি আর সিবিআই-এ ধাক্কায় তৃণমূলের নেতারা এখন দ্বিধাগ্রস্ত। তাঁরা বুঝতে পাচ্ছেন না, তারা কোন অবস্থানে আছেন। চেয়ারম্যান এক কথা বলছেন, বিধায়ক আর এক কথা বলছেন। বিজেপি নেতার মতে, চেয়ারম্যানের মুখ দিয়ে সত্যি কথা বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘যে রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে লাইন টপকে চাকরি পায়,যে রাজ্যে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী জেলে থাকেন, সে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মানুষ শিক্ষিত হয়, এই সরকার চায়না।’ তাঁর দাবি, সত্যি কথা বলার জন্য হয়ত দলের কোপ পড়তে পারে আনন্দ দত্তের ওপর। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল তৃণমূল নেতাদের। তাঁদের স্কুল চালাতে হবে। সরকারি স্কুল চালানোর সদিচ্ছা তাঁদের নেই।