Kalna Suicide: দুই যুবকের সংসারে ‘দু’দিনের অতিথি’ কাশ্মীরি পুরুষ! প্রেমে ‘ইনসিকিওর’ ছেলেটা নিয়েই ফেলল চরম সিদ্ধান্ত
Kalna: জানা গিয়েছে, কালনা থানার অন্তর্গত শাসপুর দিঘির পশ্চিম পাড় এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বারুই। গুপ্তিপাড়ার মিরডাঙ্গা কলোনির বাসিন্দা শঙ্কর ঢালির সঙ্গে তিন বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।
কালনা: সমলিঙ্গে প্রেম। মাঝে চলে এসেছিল তৃতীয় আরও একজন। তারপরই মান-অভিমান। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী কালনার যুবক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য কালনার গুপ্তিপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার গুপ্তিপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তড়িঘড়ি ওই যুবককে এলাকাবাসী ও পরিবার উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হসপিটালে নিয়ে যায়। চিকিৎসরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে, কালনা থানার অন্তর্গত শাসপুর দিঘির পশ্চিম পাড় এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বারুই। গুপ্তিপাড়ার মিরডাঙ্গা কলোনির বাসিন্দা শঙ্কর ঢালির সঙ্গে তিন বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। ইদানিং শঙ্করের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় আকিব খান নামে এক যুবকের। কালনার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কাশ্মীরের বাসিন্দা আকিব খান শঙ্করের বাড়িতে আসেন। যা মেনে নিতে পারিনি শঙ্করের পার্টনার সুশান্ত বারুই। কয়েকদিন ধরেই তাদের মধ্যে এই নিয়ে বিবাদ চলছিল।
আজ সকালে গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছে কীটনাশক খান সুশান্ত। নিজেই শংকরকে ফোনে এই কথা জানান। এরপরই শংকর বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাকে কালনা হসপিটালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। সুশান্তের পরিবারের দাবি বিষ খেয়ে তাঁদের ছেলের মৃত্যু সত্য নয়। এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য। যদিও এই ঘটনায় থানায় এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
শঙ্কর বলেন, “ও আমাকে ভালবাসে। আমি ওকে ভালবাসি। আমরা সমকামি। আমার সঙ্গে ঝগড়া হয়নি। আমার বাড়িতে এক বন্ধু বেড়াতে এসেছিল। ওর সেটাতে আপত্তি ছিল। আমি বলেছিলাম বাবু ওকে চলে যেতে বলব। সেই কারণে অভিমান করে এমন সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে কথাকাটি হচ্ছিল।”