কাটোয়া: কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, সাইকেলে চেপেই পার করে ফেলেছেন ৭৪ বছরের অধ্যাপক কিরণ শেঠ। অবশেষে তিনি পৌঁছেছেন বর্ধমানে। সেখান থেকে আবার সোজা চলে যাবেন অসম। আসলে দেশের প্রাচীন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, লোকগান সহ ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার যাতে পরম্পরা রক্ষা পায়, সে ব্যাপারে যুবসমাজকে সচেতন করতে চেয়েই এই কাজ করছেন তিনি। পেশায় আইআইটি-র অধ্যাপক ৭৪ বছরের কিরণ শেঠ পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যে, কথা বলছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে।
২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর শ্রীনগরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সাইকেল যাত্রা শুরু করেন কিরণ শেঠ। সেখান থেকে বেরিয়ে কেরল, কর্ণাটক পেরিয়ে তামিলনাড়ুর একাধিক শহর ঘুরে ১৮৯ দিন সাইকেল চালিয়ে কন্যাকুমারী পৌঁছন ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। দক্ষিণ ভারত থেকে তিনি চলে যান ওড়িশা, তারপর বিহার। এরপর পৌঁছন কলকাতায়।
দীর্ঘ ১৬ মাস সাইকেল যাত্রা করার সময় কখনও কিরণ বাবু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কখনও আবার অনেক অসুবিধায় পড়েছেন। তবে তিনি থেমে থাকেননি কখনও। শনিবার দুপুরে কাটোয়া শহরে পৌঁছেছেন তিনি। তাঁর উদ্দেশ্য হল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সহ প্রাচীন লোককলা এবং ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্মকে স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
দেশের মোট ২৯টি রাজ্যে গিয়েছেন অধ্যাপক। তিনি জানিয়েছেন, “সোসাইটি ফর প্রোমোশন ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল মিউজিক অ্যান্ড কালচার অ্যামং ইউথ”-এর তরফ থেকে দেশজুড়ে এই সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই সেই বার্তা পৌঁছতে সাইকেল করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরছেন তিনি। তিনি মনে করেন, বাংলার সৃংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ আর তা রক্ষা করার দায়িত্বও নিতে হবে সবাইকে।