Mid Day Meal: বাংলায় এমনও হয়! বরাদ্দ বন্ধ, নিজেদের গয়না বন্ধক রেখে মিড ডে মিল রান্না করছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা
Katwa Mid Day Meal: একদিকে যদি পাতে ডিম না পড়ে, তাহলেও সরকারি নির্দেশ অমান্য হবে। সেটাই ঝামেলার। আবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবিভাবকদের ঝামেলা। অন্যদিকে বর্তমান বর্ধিত ডিমের মূল্য দিচ্ছে না দফতর।
কাটোয়া: দফতর থেকে মিলছে না মিল রান্নার টাকা। অথচ সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিশুদের মিল বন্ধ করা যাবে না। বাধ্য হয়েই নিজেদের গয়না বন্ধক রেখে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালাচ্ছেন কর্মীরা। এমনই দাবি কাটোয়ার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরকারি ডিমের নিধারিত বরাদ্দ দাম ৬ টাকা ৫০ পয়সা। বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা দরে। অভিযোগ, বর্ধিত ডিমের দাম দিচ্ছে না দফতর। তাই ডিম সোনার গয়না বন্ধক দিতে হচ্ছে বলে দাবি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। অথচ সরকারি নির্দেশ মতো কচিদের পাতে ডিম দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোথা থেকে আসবে বর্ধিত মূল্যের ডিম? ফলে ফাঁপড়ে পড়েছে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের ২৮৭ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা।
একদিকে যদি পাতে ডিম না পড়ে, তাহলেও সরকারি নির্দেশ অমান্য হবে। সেটাই ঝামেলার। আবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবিভাবকদের ঝামেলা। অন্যদিকে বর্তমান বর্ধিত ডিমের মূল্য দিচ্ছে না দফতর। তাই ক্ষোভে কাটোয়ার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রর সহায়িকা ও কর্মীরা স্মারকলিপি জমা দিলেন কাটোয়ার সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা দফতরে।
কর্মীদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে কাটোয়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের ইনক্রিমেন্টের টাকা বন্ধ। বন্ধ রান্নার বিভিন্ন উপকরণের বরাদ্দও। সকলের দাবি অবিলম্বে সকল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বর্তমান বাজার মূল্য বর্ধিত ডিমের দাম দিতে হবে। না হলে আগামী দিনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাদ্য তালিকা থেকে বন্ধ করা হবে ডিম। সেইসঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সবজি বাজার ও তেল মশলার বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিজেদের গয়না বন্ধক রেখেছেন বা ধারদেনা করে চালাচ্ছেন। এক আশাকর্মী বলেন, “আমরা নিজেদের গয়না বন্ধক রেখে বাচ্চাগুলোর জন্য আর প্রসূতির জন্য মিড ডে মিলের রান্না করছি। বাজার করি, সবজি কিনি। ডিমের দামও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এভাবে কতদিন? আর আমরা পারছি না। অক্টোবর থেকে টাকা পাচ্ছি না।” আরেক কর্মী বলেন, “সুপার ভাইজার এলাকায় গিয়ে গ্রামের মানুষদের বলে আসছেন, আপনারা আপনাদের প্রাপ্যটা বুঝে নেবেন। কিন্তু আমরা চালাব কীভাবে? দফতর থেকে টাকা দিচ্ছে না।” যদিও এদিন আধিকারিক দফতরে যাননি। আর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন সুপার ভাইজার। এ বিষয়ে চাইল্ড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার দীব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিন মাস আমাদের বিল দেওয়া বাকি রয়েছে, এটা ঠিক। নিয়ম অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা রান্না করে বিল জমা করবেন, তারপর দফতর থেকে টাকা দেওয়া হবে। অক্টোবর থেকে সেটা বন্ধ। আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আর ডিমের বর্ধিম দাম দেওয়ার বিষয়টিও দেখে নিচ্ছি।”