AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR Death Controversy: SIR আতঙ্কে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, দাবি তৃণমূলের!

SIR in Bengal: এদিন মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে বাপি সাঁতরা বলেন, 'এখানে তো বিশেষ কাজকর্ম ছিল না। তাই তামিলনাড়ুতেই কাজের খোঁজে গিয়েছিল বাবা। ওখানেই কাজ করছিল। এর মাঝেই বাংলায় এসআইআর ঘোষণা হলে বাবা চিন্তায় পড়ে যায়। চিন্তায়-চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তারপর হাসপাতালে ভর্তি হলে মৃত্যু ঘটে।' প্রৌঢ়ের হাসপাতালে ভর্তি থেকে মৃত্যু, এমনকি রাজ্য়ে দেহ নিয়ে আসা পর্যন্ত সাহায্য করেছে শাসক শিবির, দাবি মৃতের ছেলের।

SIR Death Controversy: SIR আতঙ্কে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, দাবি তৃণমূলের!
ঘটনাস্থলের ছবিImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2025 | 1:14 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। তৃণমূল বলছে, দায়ী ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর। অন্যদিকে, শাসক শিবিরের দাবি নস্যাৎ করেছে বিজেপি। অবশ্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসআইআর-এর উত্তাপ যত ছড়াবে, ততই বাড়বে দুই শিবিরের কাটাছেঁড়া।

কী ঘটেছে?

তামিলনাড়ুতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। নাম বিমল সাঁতরা। তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ভর্তি হন তামিলনাড়ুরই একটি হাসপাতালে। কিন্তু রক্ষা হয় না প্রাণ, ভিন রাজ্য়েই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। কিন্তু কী হয়েছিল তাঁর? একটা মৃত্যু ঘিরে কেনই বা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কচকচানি? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরে খুব চিন্তিত ছিলেন তিনি। পরিবারের আশঙ্কা, সেই চিন্তাই প্রাণ কেড়েছে তাঁর।

বলে রাখা প্রয়োজন, মৃত প্রৌঢ়ের ‘চিন্তার কারণ’ বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিরও ‘হট টপিক’। এদিন মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে বাপি সাঁতরা বলেন, ‘এখানে তো বিশেষ কাজকর্ম ছিল না। তাই তামিলনাড়ুতেই কাজের খোঁজে গিয়েছিল বাবা। ওখানেই কাজ করছিল। এর মাঝেই বাংলায় এসআইআর ঘোষণা হলে বাবা চিন্তায় পড়ে যায়। চিন্তায়-চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তারপর হাসপাতালে ভর্তি হলে মৃত্যু ঘটে।’ প্রৌঢ়ের হাসপাতালে ভর্তি থেকে মৃত্যু, এমনকি রাজ্য়ে দেহ নিয়ে আসা পর্যন্ত সাহায্য করেছে শাসক শিবির, দাবি মৃতের ছেলের। তাঁর কথায়, ‘হাসপাতালে ভর্তির সময়ই বিধায়ককে জানিয়েছিলাম। তিনিই আমাদের সেখানে যেতে সাহায্য় করেছিলেন। এমনকি, তাঁর সহযোগিতাতেই বিমানে চাপিয়ে দেহ নিয়ে এসেছি।’

এদিন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন, ‘এসআইআর তো সত্যিই সমস্যার। যারা এই ব্যাপারে সচেতন নয়, তাঁরা প্রত্যেকেই খুব চিন্তিত। বিমান বাবু ধান রোয়ার কাজ করতেন। তামিলনাড়ুতেও সেই কাজেই গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে এসআইআর-এর কথা জানতে পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে চিন্তার কারণেই শরীর অসুস্থ হয়, মৃত্যু ঘটে।’

ইঙ্গিত স্পষ্ট, রাজ্যের আরও এক বাসিন্দার মৃত্যুর সঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনকে জুড়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির, দাবি একাংশের। তবে এই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্য়ুর কারণ SIR হতে পারে না বলেই দাবি বিজেপির। জামালপুরের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি প্রধান চন্দ্র পালের দাবি, ‘এসআইআর নাগরিকত্বের অধিকার, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তৃণমূল হয়তো আগামিকাল থেকে শ্মশানে বসে থাকবে। যে দেহই আসবে বলবে SIR দায়ী। কিন্তু এমনটা কিছুই নয়। দেখুন, ওনার হয়তো কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল।’