AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman Medical College: ‘আমার মেয়েকে কি আর ফেরত পাব?’, একজনের রক্ত অন্য়ের শরীরে দেওয়ার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে, মৃত্যু মহিলার

Bardhaman: গত ২ নভেম্বর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত অদল বদলের অভিযোগ ওঠে। সেখানে ভর্তি থাকা নমিতা মাঝির জন্য আনা রক্ত দেওয়া হয়েছিল নমিতা বাগদীকে। যাঁর জন্য আনা রক্ত তিনি তো পাননি। কিন্তু ভুল রক্ত শরীরে প্রবেশ করায় পরিবার দাবি করেন যে নমিতার বাগদীর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের দাবি, তারপরই মৃত্যু হয় মহিলার।

Bardhaman Medical College: 'আমার মেয়েকে কি আর ফেরত পাব?', একজনের রক্ত অন্য়ের শরীরে দেওয়ার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে, মৃত্যু মহিলার
মৃত মহিলা ও তাঁর সন্তানImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2025 | 1:22 PM
Share

বর্ধমান: একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু অন্যজন শেষ। সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল,একই নামের দুই মহিলার শরীরে রক্ত অদল-বদল করে দেওয়ার। এই ঘটনায় প্রাণ হারালেন একজন মহিলা। আর মাকে হারিয়ে হাউহাউ কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছেড়ে। মেয়েকে হারিয় হতাস মহিলার বাবাও। তবে এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের এমএসভিপি বলেন, “নমিতাকে সাপে কামড়েছিল। উনি সঙ্কটজনক ছিলেন। এই সময় একটা খবর জানা যায় সংবাদ মাধ্যম থেকে যে ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে। যদিও রোগীর পরিবার কোনও অভিযোগ করেননি। আমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সবটা খোঁজ খবর নিই। তবে নমিতার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে রাহুল লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন। যেহেতু ওঁকে সাপে কেটেছেন, ওঁর ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে আসল কারণ কী। তারপরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি জানানো হবে।”

গত ২ নভেম্বর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত অদল বদলের অভিযোগ ওঠে। সেখানে ভর্তি থাকা নমিতা মাঝির জন্য আনা রক্ত দেওয়া হয়েছিল নমিতা বাগদীকে। যাঁর জন্য আনা রক্ত তিনি তো পাননি। কিন্তু ভুল রক্ত শরীরে প্রবেশ করায় পরিবার দাবি করেন যে নমিতার বাগদীর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের দাবি, তারপরই মৃত্যু হয় মহিলার।

নমিতা বাগদীর বাবা দুকড়ি বাগদী হতাশ। তিনি বলেন, আর কী হবে! আর কি আমার মেয়েটাকে ফিরে পাব? তাঁর কথায়, ভুল রক্ত দেবার পর থেকেই মেয়ের অবস্থা নতুন করে খারাপ হতে থাকে।

অন্যদিকে নমিতার ছেলে রাহুল ও ভাইপো সুমন্ত জানায়, সেদিন রক্ত দেবার পর থেকে রোগীনির হাত খুলে যায়।তাকে আই সি ইউতে রাখা হয়। সেখান থেকে সে ঠিক হয়ে যায়।আজকালের মধ্যেই তার ছুটি হবার কথা ছিল। তার ছেলে রাহুল জানায়, গতকাল তার মা ভালভাবেই ডায়ালেসিস নেয়। কিন্তু রাতে হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আবার নিয়ে যাওয়া হয় আই সি ইউতে। আজ ভোরেই তাকে জানান হয়,মা মারা গেছে।

তাদের পরিস্কার অভিযোগ, সাপের কামড়ের চিকিৎসার পর তার মা ভাল ছিল। নার্সদের ভুলে তার মায়ের প্রাণ চলে গেল। তারা এ নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালের সুপারের দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছে।

নমিতা বাগদীর বাবা দুকড়ি বাগদী হতাশ। তিনি বলেন,”আর কী হবে। আর কি আমার মেয়েটাকে ফিরে পাব?” তাঁর কথায়,”ভুল রক্ত দেওয়ার পর থেকেই মেয়ের অবস্থা নতুন করে খারাপ হতে থাকে।”

অন্যদিকে, নমিতার ছেলে রাহুল ও ভাইপো সুমন্ত জানায়,সেদিন রক্ত দেওয়ার পর থেকে মহিলার শরীর খারাপ হতে শুরু হয়। তারপর তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখান থেকে সে ঠিক হয়ে যান। ছুটিও হওয়ার কথা ছিল তাঁর।

মৃতের ছেলে রাহুল বাগদী জানায়, বৃহস্পতিবার আমার মা ভালভাবেই ডায়ালেসিস নেয়। কিন্তু রাতে হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আবার নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তাঁর মা মারা গিয়েছে।

তাদের পরিস্কার অভিযোগ,সাপের কামড়ের চিকিৎসার পর তার মা ভাল ছিল। নার্সদের ভুলে তার মায়ের প্রাণ চলে গেল। তারা এ নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালের সুপারের দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে।