AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalna: ‘৮ হাজার টাকায় ৩টে গাছ কাটার অনুমতি’, অভিযোগ উঠতেই পঞ্চায়েত প্রধান বললেন…

Kalna Tree cutting: গাছ কাটার জন্য সরকারি অনুমতিপত্র দেখাতে না পারায় স্থানীয় বাসিন্দারা বৈদ্যপুর ফাঁড়ির আইসি, কালনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বৈদ্যপুর ফাঁড়ির পুলিশ। কেটে ফেলা গাছগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।

Kalna: '৮ হাজার টাকায় ৩টে গাছ কাটার অনুমতি', অভিযোগ উঠতেই পঞ্চায়েত প্রধান বললেন...
রাস্তার ধার থেকে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2025 | 11:51 PM
Share

কালনা: বনসৃজন প্রকল্পে প্রশাসনের তরফে রাস্তার ধারে গাছ লাগানো হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে সেইসব গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। টাকার বিনিময়ে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লক এলাকায়। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

রবিবার সকালে কালনা দু’নম্বর ব্লকের বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার ধারে সরকারি গাছ কাটতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পারে, বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপ্পাদিত্য গোস্বামী গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। আব্দুল খালেদ গাজী নামে এক ব্যক্তি লোকজন নিয়ে গাছ কাটছিলেন। তিনি জানান, তিনটে গাছের জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অনুপতিপত্র তিনি অবশ্য দেখাতে পারেননি। আব্দুল খালেদ গাজী বলেন, প্রধান নির্দেশ দিয়েছেন।

গাছ কাটার জন্য সরকারি অনুমতিপত্র দেখাতে না পারায় স্থানীয় বাসিন্দারা বৈদ্যপুর ফাঁড়ির আইসি, কালনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বৈদ্যপুর ফাঁড়ির পুলিশ। কেটে ফেলা গাছগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। মানিক পাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গাছ কাটার নির্দেশ প্রধান দিতে পারেন না। এদিন ভোর থেকে যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছিল, তা দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারপরই কাটা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।”

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপ্পাদিত্য গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কাউকেই কোনও গাছ কাটার অনুমতি দিইনি। আমার নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।”