Purba Bardhaman: চিতায় তোলার আগেই পৌঁছে গেল পুলিশ, নিয়ে গেল মহিলার মৃতদেহ
Purba Bardhaman Housewife death: স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গতকাল প্রতিমার বুকে ব্যথা হয়েছিল। তখন তাঁকে প্রথমে গরম জল খাওয়ানো হয়। তাতে বুকের ব্যথা না কমায় একটা কোল্ড ড্রিঙ্ক কিনে এনে খাওয়ান তাঁর স্বামী তপন ক্ষেত্রপাল। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। হার্ট অ্যাটাকেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের বক্তব্য।

মেমারি: সাজানো হয়েছে চিতা। পাশেই রাখা হয়েছে মৃতদেহ। কিন্তু, দাহ করার আগেই পৌঁছে গেল পুলিশ। গৃহবধূর মৃতদেহ শ্মশান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হল। কারণ, মৃতের বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার বড়র গ্রামের।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে মেমারির বড়র গ্রামের গৃহবধূ প্রতিমা ক্ষেত্রপালের(৩৮) মৃত্যু হয়। রবিবার সকালে গ্রামেরই শ্মশানে দেহটি দাহ করতে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু, আচমকা প্রতিমার মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজন। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়,তাদের মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ তড়িঘড়ি বড়র গ্রামের শ্মশানে পৌছায়। শ্মশানে পৌছে পুলিশ দেখে একদিকে চিতা সাজানো হচ্ছে। অন্যদিকে দেহ দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ গ্রামের মানুষকে বুঝিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গতকাল প্রতিমার বুকে ব্যথা হয়েছিল। তখন তাঁকে প্রথমে গরম জল খাওয়ানো হয়। তাতে বুকের ব্যথা না কমায় একটা কোল্ড ড্রিঙ্ক কিনে এনে খাওয়ান তাঁর স্বামী তপন ক্ষেত্রপাল। তারপর ১০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। হার্ট অ্যাটাকেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের বক্তব্য।
নোখুরা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “মেয়ের কাকা আমাদের ফোনে জানান যে প্রতিমাকে ফেরে ফেলা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। সেজন্যই পুলিশ আসে।” মৃত প্রতিমার বোন চন্দনা ক্ষেত্রপাল জানান, তাঁকেও বলা হয়েছে হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর দিদির। এর বেশি তিনি কিছু জানেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
