Awas Controversy: পাকা বাড়ি থাকার পরেও আবাসে নাম, ‘৬ বছর আগে আমার মাটির বাড়ি ছিল’, সাফাই প্রধানের

Kousik Dutta | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 10, 2024 | 10:24 AM

Awas Controversy: বিজেপি নেতারা বলছেন, দুর্নীতির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটে তো জিতছে। প্রধান পদ থেকে সরে এলে সাধুবাদ জানানো যেত। তাঁদের তিনি যা করছেন তা আসলে আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। হয়তো দুর্নীতি বেরিয়ে যাবে তাই নাম বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।

Awas Controversy: পাকা বাড়ি থাকার পরেও আবাসে নাম, ‘৬ বছর আগে আমার মাটির বাড়ি ছিল’, সাফাই প্রধানের
বিতর্ক এলাকার রাজনৈতিক মহলে
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

কেতুগ্রাম: পাকা বাড়ি রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের। তারপরেও আবাস প্রকল্পে ঘর পাওয়ার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে প্রধানের নাম। তাতেই ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামে। গ্রামবাসীদের বড় অংশের দাবি, যাঁরা প্রকৃত পাকা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁদের নাম ওঠেনি তালিকায়। যদিও সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত প্রধান নিজেই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন প্রশাসনের কাছে। পাল্টা কটাক্ষবাণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতারা বলছেন, দুর্নীতির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটে তো জিতছে। প্রধান পদ থেকে সরে এলে সাধুবাদ জানানো যেত। তাঁদের তিনি যা করছেন তা আসলে আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। হয়তো দুর্নীতি বেরিয়ে যাবে তাই নাম বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।

অন্যদিকে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বলছেন, যদি প্রধানের ঘরের প্রয়োজন থাকে তাহলে প্রধান ঘর নেবেন। নাহলে যোগ্যদের ঘর দেওয়া হোক। তা নিয়েই চাপানউচতোর চলছে কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাটিকুড়ি পঞ্চায়েতে। এলাকায় অধিকাংশ বাসিন্দা দিনমজুর বা খেটে খাওয়া পরিবারের। মাটির ঘরেই  বাস। আবাস প্রকল্পে ঘর পাওয়ার তালিকায় নাম নেই বহু লোকেরই। অভিযোগ, পঞ্চায়েত-প্রশাসন মাটির ঘর রয়েছে এমন পরিবারের নাম নিয়ে গেলেও তালিকায় তাদের নাম নেই। অথচ পঞ্চায়েত প্রধানের পাকা বাড়ি থাকতেও প্রধানের নাম রয়েছে। 

প্রধান গোপাল হাজরা এই বিষয়ে বলছেন, “এই তালিকা ২০১৮ সালের। সেই সময় আমার মাটির বাড়ি থাকায় তালিকায় নাম এসেছে। ২ বছর আগে মাটির বাড়ি ভেঙে পাকা বাড়ি করেছি। তাই প্রধান হিসাবে আমি চাই আমার নাম বাদ দিয়ে যারা যোগ্য উপভোক্তা তাদের ঘর দেওয়া হোক।” তিনি এ কথা বললেও ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয় বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহলেও শুরু চাপানউতোর। 

Next Article