Save Life: আচমকা পথদুর্ঘটনা, পুলিশই দেবে প্রাথমিক চিকিৎসা! প্রশংসনীয় উদ্যোগ বর্ধমানে
Burdwan: এই চিকিৎসা শিবিরে যাঁরা প্রশিক্ষক ছিলেন, তাঁরা হাতে কলমে এদিন শেখান হঠাৎ করে কোনও মুমুর্ষুকে সামনে দেখতে পেলে কী কী করা অত্যাবশ্যক।
পূর্ব বর্ধমান: সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ-সহ পুলিশ কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। এই বিশেষ প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্যই, প্রাণরক্ষা। পথেঘাটে অনেক সময় এমন দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা পেলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। কিন্তু সেই পদ্ধতি না জানার কারণে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই খণ্ডঘোষ থানার এই উদ্যোগ।
এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে এসডিপিও সদর সাউথ সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, রাস্তায় দুর্ঘটনা হলে কীভাবে সেই আহত বা গুরুতর আহত মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে, যাতে তার প্রাণ সংশয় না হয় সেই বিষয়গুলি নিয়েই মূলত প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। রাস্তায় পুলিশকর্মীরা শুধুমাত্র যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রেই কর্তব্যরত অবস্থায় থাকেন না, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটলে সেই রোগীকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছনোর দ্রুত ব্যবস্থাও করেন তাঁরা। সেই বিষয়কেই মাথায় রেখে সিআই রজতকান্তি পালের ভাবনাচিন্তায় খণ্ডঘোষ থানার ওসি পুষ্পেন্দু জানার উদ্যোগে এরকম একটা প্রশিক্ষণ শিবির করা হল।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও সদর সাউথ সুপ্রভাত চক্রবর্তী, সিআই সদর রজতকান্তি পাল, খণ্ডঘোষ থানার অফিসার ইনচার্জ পুষ্পেন্দু জানা-সহ খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক শুভেন্দু ঘোষ এবং সিএইচও লিপিকা নায়েক।
এই চিকিৎসা শিবিরে যাঁরা প্রশিক্ষক ছিলেন, তাঁরা হাতে কলমে এদিন শেখান হঠাৎ করে কোনও মুমুর্ষুকে সামনে দেখতে পেলে কী কী করা অত্যাবশ্যক। সিআই সদর রজতকান্তি পাল বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসার পরিষেবা দিতে এবং পরিষেবা পাওয়ার আগে অনেকটাই শারীরিক ভাবে সুস্থ করে তোলার জন্যই এই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ শিবির। সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশদের হাতে একটি করে ফার্স্ট এড বক্সও তুলে দেওয়া হয়।
এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তীর কথায়, “মূলত সেফ ড্রাইভ সেভ ড্রাইভ নামে মুখ্যমন্ত্রী যে কর্মসূচি নিয়েছেন সেই কর্মসূচিরই সঙ্গে এই প্রশিক্ষণের পর্ব মিশে যাবে। আমাদের সিআই সাহেব খুবই কার্যকর একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওসি খণ্ডঘোষের উদ্যোগে এবার তা বাস্তবায়িতও হতে চলেছে। এই প্রশিক্ষণ শিবির একেবারেই সচেনতার পাঠ পড়ানো। কিছুটা প্রফেশনাল নলেজ দেওয়া। আমাদের বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা থাকেন, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথম খবর তাঁদের কাছেই পৌঁছয়। তাঁরাই প্রথম যে কোনও দুর্ঘটনাস্থলে যান। সেক্ষেত্রে তাঁদের যদি একটু মেডিকেলের ধারণা থাকে, একটু প্রফেশনালি যদি বিষয়টা তত্ত্বাবধান করতে পারেন তা হলে হয়ত কোনও বড় বিপদ এড়ানো যেতেই পারে। কয়েক মুহূর্তের তফাতে একটা প্রাণ চলে যায়। সেই মূল্যবান মুহূর্তটাকে যাতে কাজে লাগানো যায় সে কারণেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া। এতেই তো আমাদের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের উদ্যোগটাও সফল হবে।”
আরও পড়ুন: Muri Mela: ধামা ভরা মুড়ির সঙ্গে চপ-বেগুনি-জিলিপি-মিঠাই! ফি বছর দ্বারকেশ্বরের চরে বসে মুড়ি মেলা