নিজস্ব প্রতিবেদন: যখন-তখন হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে বাড়ির আসবাবপত্র। অদৃশ্য কেউ একের পর এক আছড়ে ভেঙে দিচ্ছে বাড়ির চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে কাঠের বাক্স। বাদ পড়ছে না মোবাইল। লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে বাড়ির সব কিছু। নিমেশের মধ্যেই ভেঙে যাচ্ছে বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে দেওয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক তার। কাটোয়া আখড়া গ্রামে অভাবী ব্রাহ্মণ পরিবার এখন ব্রহ্মদৈত্যের ভয়ে কাঁটা।
দিন বা রাত এমনই ভূতুড়ে অলৌকিক কাণ্ডে অতিষ্ঠ কাটোয়ার আখরা গ্রামের আচার্য পরিবার। এই ভূতুড়ে কাণ্ডে আতঙ্কিত পরিবারের সকলে। পরিবারের সদস্যদের অনুমান, বাড়িতে থাকা একটি নিম গাছ কেটে ফেলার পরে শুরু হয়েছে এই ভূতুড়ে তাণ্ডব।
পরিবারের কয়েক জন সদস্যের অনুমান আরও বড়। নিম গাছে নাকি ছিলেন ব্রহ্মদৈত্য। নিম গাছ কেটে ফেলায় সেই ব্রহ্মদৈত্যই নাকি ঘরে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। তবে আচার্য পরিবারের এই ধারণা মানতে নারাজ বিজ্ঞান মঞ্চ। ভয় দেখাতে বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই সমস্ত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
কাটোয়া আখড়া গ্রামে অভাবী ব্রাহ্মণ পরিবার রঞ্জিত আচার্যর। বাড়িতে বৃদ্ধা মা স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে সংসার। নিত্যদিনের পূজার কারণে রঞ্জিত আচার্য বেশিরভাগ সময় গ্রামের বাইরে থাকেন। বাড়িতে থাকেন মা স্ত্রী ও ছেলে। বাড়িতে থাকা নিম গাছের পাতা পড়ছে প্রতিবেশীদের বাড়িতে। এই কারণেই বাড়িতে থাকা নিমগাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন রঞ্জিত আচার্য।
দিন ১৫ আগে নিম গাছ কাটার পর থেকেই শুরু হয় বাড়িতে ভৌতিক কর্মকাণ্ড। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙে যাচ্ছে। পড়ে যাচ্ছে। উলোটপালট হয়ে যাচ্ছে বাড়ির অন্যান্য জিনিসপত্র। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোন এক গুনিন কাছে যান পরিবারের এক সদস্য। তাঁরা জানতে পারেন, কেটে ফেলা নিমগাছে ছিল এক ব্রহ্মদৈত্য। তিনিই এখন এসবের নেপথ্যে।
রঞ্জিত আচার্যর বাড়িতে এই ভূতুড়ে কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে গোটা গ্রামে। এই অলৌকিক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত রয়েছে একদিকে যেমন তাঁর পরিবার তেমনি আতঙ্কিত রয়েছেন গ্রামবাসীরাও। তবে TV9এর ক্যামেরা রঞ্জিত আচার্যর বাড়িতে দীর্ঘসময় থাকাকালীন আশ্চর্যভাবে কোন অলৌকিক বা ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটেনি।