পূর্ব বর্ধমান: সামনে সাজানো চিপসের প্যাকেট, বাহারি বিস্কুট, জারি ভর্তি ডাল, বিভিন্ন মশলা। আর তার আড়ালেই চলত আসল ব্যবসা। মুদিখানার দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে বেআইনিভাবে চলত মদ বিক্রির ব্যবসা। এমন কি দোকান লাগোয়া ঘেরা জায়গায় বসে নিশ্চিন্তে বসত ঠেকও। সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাটোয়ার আবগারি দফতর হানা দেয় কাটোয়ার সুদপুর গ্রামে এই মুদির দোকানে।
দোকান থেকে উদ্ধার হয় ব্যারেল ভর্তি দেশি মদ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু ব্র্যান্ডেড মদের বোতলও। গ্রেফতার হয়েছে মুদিখানার দোকানের মালিক বাপি ভট্টাচার্য।
কাটোয়া সুদপুর গ্রাম। এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই মুদিখানার দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে মদ বিক্রি চলত বলে অভিযোগ। এই অবৈধ মদ বিক্রির কারবার করে মুদিখানা দোকানের মালিক বাপি ভট্টাচার্য গত কয়েক বছরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। রয়েছে তার তিন তলা পাকা বাড়িও।
দোকানের মালিক বাপি ভট্টাচার্যের বাড়িতে যেতেই গা ঢাকা দেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পাড়াপড়শিরাও। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর দোকানের শাটার বন্ধ।
দোকানের ঠিক পাশেই ঘেরা জায়গায় পড়ে রয়েছে মদের বোতল মদ খাওয়ার গ্লাস এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্যাকেট। যেখানে মদ কিনে পান করতেন ক্রেতারা। বাপী ভট্টাচার্য স্বীকার করেছেন, তিনি বেআইনি ভাবে মুদিখানার দোকানে মদ বিক্রি করতেন। আবগারি দফতর জানান, গোপন খবর পেয়েই হানা দিয়ে দোকান থেকে ব্যারেল ভর্তি ও বোতল বন্দি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দোকানের মালিককে।
এদিকে, বর্ধমানের ‘মদে বিষক্রিয়া’য় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এছাড়াও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও কয়েকজন। ঘটনায় সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে এক হোটেল মালিককে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। জেলা আবগারি দফতরের পুলিশ সুপার এনায়েত রাব্বি জানিয়েছেন, নমুনা সংগ্রহের পরে সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবের যে প্রাথমিক রির্পোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে অসঙ্গতি মেলেনি। বর্ধমানের একাধিক মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।