River Erosion: ‘ভয়ে রাতে ঘুম হয় না, যদি নদীর তলায় চলে যাই’, ভাঙন আতঙ্কে গোটা গ্রাম

Kousik Dutta | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 17, 2023 | 6:20 AM

Purba Burdwan: কেতুগ্রাম-২ ব্লকের নতুনগ্রামের একদিকে ভাগীরথী নদী, অন্যদিকে বাবলা নদী। এবছরের বর্ষায় বৃষ্টি ও বিভিন্ন ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় জলস্তর বেড়ে কার্যত মিলে গিয়েছে নদী দু'টি। আর তার জেরেই প্রায় গত দেড় মাস ধরে ভাগীরথীর ভাঙন শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে যা ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

River Erosion: ভয়ে রাতে ঘুম হয় না, যদি নদীর তলায় চলে যাই, ভাঙন আতঙ্কে গোটা গ্রাম
এভাবেই ঝুলছে আইসিডিএস কেন্দ্র।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: শারোদৎসবে গোটা বাংলা যখন মাতোয়ারা, তখন ভাঙনের চিন্তায় ঘুম উড়েছে কেতুগ্রামের বাসিন্দাদের। কেতুগ্রাম-২ ব্লকের মৌগ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দুই নদী কার্যত হুমকি হয়ে উঠেছে এখানকার কয়েকশো গ্রামবাসীর। প্রমান গুনছেন মানুষগুলো, নদী ভাঙনের জেরে চোখের সামনেই না হারাতে দেখেন নদীপারের বসত বাড়ি, গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আরও কত কিছু। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।

কেতুগ্রাম-২ ব্লকের নতুনগ্রামের একদিকে ভাগীরথী নদী, অন্যদিকে বাবলা নদী। এবছরের বর্ষায় বৃষ্টি ও বিভিন্ন ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় জলস্তর বেড়ে কার্যত মিলে গিয়েছে নদী দু’টি। আর তার জেরেই প্রায় গত দেড় মাস ধরে ভাগীরথীর ভাঙন শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে যা ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

নতুনগ্রামে যে আইসিডিএস কেন্দ্র, নদী একেবারে তার কাছে চলে এসেছে। গ্রাসও শুরু করেছে নদী ভাঙন। এলাকার ১১১নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রটি রীতিমতো নদীর ধারে ঝুলছে। এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের একাংশের নীচে মাটিও নেই। এই বুঝি গেল তলিয়ে, উদ্বেগে গ্রামের মানুষ।

এমন অবস্থায় বাচ্চাদের বাড়ির লোকেরা সেখানে পাঠানো বন্ধ রেখেছেন। নিয়ম করে রান্নাটুকু হয় সেখানে। সময়মতো সে খাবার নিতে আসে ক্ষুদেরা। শুধু এই আইসিডিএস কেন্দ্রই নয়, বহু বাড়িও বিপদের মুখে। আগেও নদীর গ্রাসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। পুজোর মুখে আবার না সর্বস্ব খোয়াতে হয় ভয়ে জয়াবতী বর্মনরা। বলছেন, “রাতে ঘুমোতে ভয় করে। যদিও নদীর তলায় চলে যাই।”

পঞ্চায়েত প্রধান পার্থপ্রতীম চট্টোপাধ্যায়কে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, বিভিন্ন মহলে নাকি এই পরিস্থিতি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটিও অন্যত্র স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে প্রশাসনের ভূমিকায় একেবারেই খুশি নয় গ্রামের বাসিন্দারা।

Next Article