মেদিনীপুর ও কালনা: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিলই। তাই সত্যি করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক প্রান্তে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঝেপে বৃষ্টি নামল। ক্ষণিকের দমকা ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড একাধিক এলাকা। কালনা থেকে মেদিনীপুর, সর্বত্রই একই ছবি। কোথাও দেখা মিলল আচমকা ঝড়ের, কোথাও আবার বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিতে নিমেষেই সব ছত্রখান হয়ে গেল। এদিকে এখনও সরস্বতীর আবহ রয়েছে জেলায় জেলায়। কোথাও কোথাও সন্ধ্য়া থেকেই চলছিল নিরঞ্জনের প্রস্তুতি, তারমধ্যেই আচমকা বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল সবটাই। গলসি ব্লক থেকে এল ১ জনের মৃত্যুর খবর। আহত ৩।
সূত্রের খবর, গলসির বোমপুরে মাঠে কাজে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। মৃতার নাম সজনী মুর্মু। অন্যদিকে রায়না থানার আস্তিকুরে ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে আহত হন অনন্ত পোড়েল নামে এক ব্যক্তি। কালনার বৈদ্যপুরে ভেঙে গিয়েছে পুজো মণ্ডপ। আহত হয়েছে অর্পিতা সাহা ও অশোক মাহাতো নামে দু’জন।
সরস্বতী পুজোর শেষলগ্নে আচমরা বৃষ্টিতে বিষাদের মেঘ পশ্চিম মেদিনীপুরেও। রাত আটটার কিছু পরেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় জেলার নানা প্রান্তে। সবে গিয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে, চলছে সরস্বতী পুজো, কার্যত উৎসবের আনন্দে ভাসতে এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় ভিড় ছিল যুবক-যুবতীদের। কিন্তু, সন্ধ্য়ার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই ফিরতে হল বাড়ি। অন্যদিকে অসময়ের বৃষ্টি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন চাষীরা। এদিকে হাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার বিকালের পর থেকে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হবে। শুক্রবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশের দেখা মিললেও বৃষ্টি খুব একটা হবে না। এদিকে বৃহস্পতির সন্ধ্যার বৃষ্টিতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।