বড়শুল: সরকারি জায়গাতেই তৈরি হয়ে গিয়েছে একের পর এক দোকান। কিন্তু, এ নিয়ে নাকি কিছুই জানেন না ব্লক আধিকারিক। অভিযোগ জানালেন এলাকার লোকজন। তারপরই তড়িঘড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হল কাজ বন্ধের নোটিশ। শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বড়শুল বাসস্যান্ট এলাকায়। এখানেই একের পর এক দোকানের নির্মাণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানই টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে ওই ঘরগুলি পাইয়ে দিয়েছেন।
এদিকে এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই মুখ খুলেছেন ব্লক আধিকারিকও। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলছেন তিনি। তথ্য় বলছে, বড়শুলের বাজেশালপুর মৌজার অন্তর্গত বড়শুল বাসস্যান্ড এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের জায়গা হিসেবে রেকর্ড করা রয়েছে। এখানেই একপাশে কঠিন-তরল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনাও গড়ে উঠেছে। অভিযোগ এই জায়গাক পাঁচিলের গায়েই একের পর এক দোকান গজিয়ে উঠেছে। দোকানের সংখ্যা ১৭। এই দোকানগুলির বৈধতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চলছে চাপানউতোর।
এদিকে কারা এই দোকান তৈরি করলেন, কীভাবেই বা রাতারাতি ওই জায়গায় ‘বাইরের’ লোকজন কাজ করে ফেললেন সেইসব কোনও প্রশ্নের উত্তরই নাকি নেই প্রশাসনের কাছে। ব্লক আধিকারিক দিব্যজ্যোতি দাস বলছেন, “সরকারি কোনও প্রকল্পের অধীনে এই নির্মাণ করা হয়েছে কিনা জানা নেই। এলাকা থেকে অভিযোগ আসার পর আমরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য নোটিশ দিয়েছি। একইসঙ্গে যাঁরা এই কাজ করেছেন,নির্মাণকারী সংস্থাকে ব্লকে যোগাযোগ করার জন্য বলা বয়েছে।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বড়শুল পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশ চন্দ্র সরকারের তত্ত্বাবধানেই গোটা কাজ হয়েছে। দেড় লাখ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে দোকান ঘরগুলি বণ্টন করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। চাপানউতোর তৈরি হয়েছে জেলা পরিষদেও। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার জানান, সরকারি জায়গায় অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ কোনওভাবেই বৈধ নয়। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।