কাটোয়া: দল প্রতীক দিয়েছে। কাটোয়ার (Katwa) মৌসুমী দাসের ভোটের প্রচার চলছিল জোরকদমে। সকাল সন্ধ্যা দেওয়াল লিখন, প্রচার, মিটিংয়ে চরম ব্যস্ততা। আচমকাই ছন্দপতন! সোমবার ভোরে বুকে ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ‘রোগী আর বেঁচে নেই।’ এমন ঘটনায় তাজ্জব পাড়ার লোকজন। মাত্র ৩১ বছর বয়স। এমন করুণ পরিণতি ভাবতেই পারছেন না পরিবারের লোকেরাও। আপাতত এই আসনে বুথ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলকোটের বিডিও জগদীশচন্দ্র বাড়ুইয়ের বক্তব্য, আপাতত এই আসনে ভোট স্থগিত রাখা হবে। যদিও বাকি দুই স্তর অর্থাৎ পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সমস্ত আসনেই ভোটগ্রহণ হবে।
মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া-২ পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথ। সেখান থেকেই গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মৌসুমী দাস। এই গ্রামপঞ্চায়েতেরই সিঙ্গত গ্রামে তাঁর বাড়ি। এবার ঘাসফুল প্রতীকে লড়ছিলেন তিনি। তাঁর নামে দেওয়াল লিখন হয়েছে এলাকায়। অথচ সেই প্রার্থীই নেই। সোমবারের ঘটনায় মন খারাপ বুথের কর্মীদেরও। বিশেষ করে যাঁরা তাঁর হয়ে উদয় অস্ত খাটছিলেন, সকলেই মর্মাহত।
সোমবার সকালে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন মৌসুমী। বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পাশেই ছিলেন স্বামী বিশ্বনাথ দাস। তিনিই তড়িঘড়ি সিঙ্গত গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিকে প্রার্থীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সকালেই মৌসুমীর বাড়িতে এসে পৌঁছন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। মৌসুমী দলের সক্রিয় কর্মী বলেই জানিয়েছেন তিনি। স্বামী, সন্তান, সংসার ফেলে এভাবে তাঁর চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। বিডিও জানান, প্রার্থীর মৃত্যুর সংবাদ জেলা প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।