পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চায়েত (Panchayet Election) ভোটের আগে সৌগত রায় দলে শুদ্ধিকরণের বার্তা দিয়েছেন। দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের সেই মন্তব্যের কটাক্ষ শোনা গেল সাংসদ-আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মুখে। রবিবার কাটোয়ায় গিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) মন্তব্য করেন, যাঁর বিরুদ্ধে দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর মুখে শুদ্ধিকরণের কথা শুনে দলের লোকেরাই হাসবেন।
এদিন কাটোয়ার নজরুলমঞ্চে সারাভারত আইনজীবি সমিতির চতুর্দশতম পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন ছিল। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “শুদ্ধিকরণের ডাক দিচ্ছেন কে? যিনি ডাক দিলেন তাঁর বিরুদ্ধেই একটা মারাত্মক দুষ্কর্মের অভিযোগ আছে। বিজেপির সঙ্গে খানিকটা সমঝোতা করে এখনও তাঁরা কারাগারের বাইরে আছেন। নারদে হাত পেতে টাকা নেওয়া মানুষ। তিনি যদি বলেন শুদ্ধিকরণ, তা হলে নীচের তলার কর্মীরা তো হাসবেন। ওই দলের কে কী বলছেন সেটা গুরুত্ব দেওয়াটা আমি মনে করি একেবারেই শিশুসুলভ চিন্তা হবে। তৃণমূল শুদ্ধিকরণ করবে, তৃণমূল মানুষকে নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে দেবে, এসব চিন্তাভাবনা বালখিল্যর ভাবনা।”
এদিনই কামারহাটিতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, “সময় এসেছে যে আমরা দলের মধ্যে ঝাড়াই বাছাই করি। এটাও বলার সময় এসেছে, যাঁরা এ দলে এসেছিলেন বা আছেন আর্থিক সুবিধার জন্য, তাঁদের বোধহয় দল থেকে একটু সরে যাওয়ার সময় এসেছে। তার কারণ, আমাদের অসংখ্য কর্মী। ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎভাবে কাজ করেন। আমরা চাই না কিছু লোক তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য দলের ভাবমূর্তি মলিন করে দিন।” সেই বক্তব্যকেই এদিন কটাক্ষ করেন বিকাশবাবু।
একইসঙ্গে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “সর্বত্র হুমকি দেওয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে দেখছেন না? কার এজলাসে মামলা হবে তা নিয়েও হইহই শুরু হয়ে গেল। কিয়দংশের আইনজীবী তো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সবাইকে ওরা তো আর ভয় দেখাতে পারে না। পাল্টা ওরা ভয়ই পায়। একাংশকে ভয় দেখায়। বহু অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। এর থেকে বেরোনোর একটাই উপায় মাঠে ময়দানে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছি আমরা। জন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সেই ডাক সর্বত্র দিচ্ছি। সর্বত্রই জন প্রতিরোধের একটা ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।”