TMC: বিধায়ক-উপপ্রধানের ঝামেলা, এবার মামলা দায়ের আদালতে
Purba Burdwan: বিধায়কের দাবি, এ নিয়ে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় পঙ্কজের সঙ্গে কথাও বলেন। সোশাল মিডিয়ায় এ ধরনের ঘটনা না ঘটিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তা দলের অন্দরে আলোচনার পরামর্শও দেন।
কালনা: বিধায়কের সঙ্গে উপপ্রধানের ঝামেলা আজকের নয়। প্রায়ই দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা বাধে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ডেকেও একাধিকবার তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে সেই আকচাআকচি যে আদালত অবধি গড়িয়ে যাবে, অনেকে হয়ত ভাবেননি। তবে হল তেমনই। পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ও পূর্বস্থলী গ্রামপঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঝামেলা সকলেই জানেন। এবার সেই ঝামেলা গড়াল আদালতের দরজা অবধি। শুক্রবার পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় কালনা আদালতে যান। পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়া ও জনসমক্ষে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুৎসার অভিযোগ তুলে মানহানির মামলা করেন। নিঃসন্দেহে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এমন ঘটনায় শোরগোল শাসকদলের অন্দরে। যদিও এ নিয়ে পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এখনও কোনও চিঠি পাইনি। পেলে ভেবে দেখব। আর উনি আদালতের রাস্তা খুলে দেওয়ায় সুবিধাই হল।”
কী অভিযোগ বিদায়ী উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে? বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, গত ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত লাগাতার কখনও সোশাল মিডিয়ায়, কখনও আবার প্রকাশ্যে বিধায়কের নামে কুৎসা করেছেন উপপ্রধান। তপন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে তিনি সবটা জানতে পারেন।
বিধায়কের দাবি, এ নিয়ে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় পঙ্কজের সঙ্গে কথাও বলেন। সোশাল মিডিয়ায় এ ধরনের ঘটনা না ঘটিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তা দলের অন্দরে আলোচনার পরামর্শও দেন। অভিযোগ, তারপরও নিয়মিত পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কাজ করে গিয়েছেন। এরপরই কালনা আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন বিধায়ক। সূত্রের খবর, এর আগে উকিলকে দিয়ে নোটিসও পাঠিয়েছিলেন বিধায়ক। তবে তার কোনও উত্তর আসেনি। এরপরই মানহানির মামলা দায়ের করেন।