পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের ‘মিনি জু’ পেতে পারে ‘মিডিয়াম জু’-এর মর্যাদা। রবিবার এই খুশির খবর শোনাল কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এদিন বর্ধমানের রমনার বাগানে এই মিনি চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গেই ছিলেন ডিএফও নিশা গোস্বামী-সহ বনকর্মীরা। সমস্ত এনক্লোজারে গিয়ে পশুপাখিদের রাখা, তাদের খাওয়ানো, যত্ন নেওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান আরকে সিং। ছোট হলেও এই চিড়িয়াখানায় অসংখ্য হরিণ, একজোড়া চিতা বাঘ, ভাল্লুক, এমু পাখি, ময়ূর, কুমীর-সহ অসংখ্য আবাসিক রয়েছে।
খুঁটিনাটি বিষয় নজরে এনে পরে আরকে সিং সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা খতিয়ে দেখলাম এই চিড়িয়াখানা সমস্তরকম মাপকাঠি মেনে চলছে কি না। দেখলাম এই চিড়িয়াখানা খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং এরা সমস্তরকম নিয়মই মেনে চলে। বিশেষ করে বন্যপ্রাণের জন্য যে সমস্ত নিয়ম মানা খুবই দরকার সেগুলি এখানে নজরে রাখা হয়। দেখলাম ওরা কীভাবে প্রাণীদের খাওয়ায়, যত্ন করে, এনক্লোজার পরিষ্কার রাখে। সবরকম প্রোটোকলই ওরা মেনে চলে।”
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, “এখানকার এনক্লোজারের যে মাপ তা-ও খুবই ভাল। পশুদের রাখার জন্য এখানকার প্রকৃতিও একেবারে যথাযথ। এটা খুব দরকার। এদের মধ্যে সেই ক্ষমতাও আছে যে পরবর্তী ধাপে উন্নীত হতে পারে। এটা মিনি জু থেকে মিডিয়াম জু হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমরা প্রস্তাব পাঠাব কেন্দ্রে।” গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় দলকে ঘুরিয়ে দেখিয়ে ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, “কেন্দ্রীয় দল ঘুরে রেখে তাদের মতামত দিয়েছে। ওরা বেশ সন্তুষ্ট।”
আরও পড়ুন: Coal Smuggling Case: গরুর পর এবার কয়লা, কালীঘাটের বিনয় মিশ্রের নামে হুলিয়া জারি সিবিআইয়ের