Burdwan University: শক্তিগড়ে বেলাইন ট্রেন, গাড়ির সমস্যায় স্থগিত হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা

Manatosh Podder | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 11, 2023 | 4:13 PM

Purba Burdwan: বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের নির্ধারিত 'পিএইচডি অ্যাডমিশন টেস্ট' স্থগিত রাখা হয়। এদিন সকালে বহু পরীক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলেও তাঁরা নোটিস দেখে ফিরে যান।

Burdwan University: শক্তিগড়ে বেলাইন ট্রেন, গাড়ির সমস্যায় স্থগিত হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: শক্তিগড়ের ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। সেই কারণে স্থগিত হয়ে গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাওড়া বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচলের ব্যাপক সমস্যা হয়। বহু দূরপাল্লার ট্রেন অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বহু ট্রেন দেরীতেও চলছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের নির্ধারিত ‘পিএইচডি অ্যাডমিশন টেস্ট’ স্থগিত রাখা হয়। এদিন সকালে বহু পরীক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলেও তাঁরা নোটিস দেখে ফিরে যান। পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ পরে জানানো হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে পরীক্ষার্থীদের একাংশের কথায়, এর আগেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। আরও একবার বাতিল করা হল।

এক পরীক্ষার্থীর কথায়, “আমাদের পিএইচডির একটা পরীক্ষা ছিল। সেটা আগেও একবার স্থগিত রাখা হয়েছিল। ১৮ তারিখ এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। আজও বাতিল হল। আমরা তো জানতামই না। ওয়েবসাইটে কোনও নোটিসও দেয়নি। আমরা আসি। এরপর এখানে নোটিস পড়ল। খুব সমস্যা হল আমাদের। শুধু লেখা পরীক্ষা বাতিল। এভাবে বারবার পরীক্ষা বাতিল হলে আমাদের তো সমস্যা হয়।” আরেক পরীক্ষার্থী জানান, আচমকাই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকালে তাঁরা পরীক্ষা দিতে আসার বেশ কিছুক্ষণ পর পরীক্ষা বাতিলের কথা জানানো হয়। ফলে এখানেও সময় নষ্ট হল।

শক্তিগড়ে বুধবার ডাউন বর্ধমান-ব্যান্ডেল প্যাসেঞ্জার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। রাত ৯টা ২০ নাগাদ বর্ধমান-হাওড়া শাখার শক্তিগড় স্টেশনের কাছে লাইন থেকে নেমে যায় ট্রেনটির বগি। তুমুল আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। এদিকে এই ঘটনার পর একের পর এক ট্রেন বাতিল হওয়া শুরু হয়। দেরীতে চলতে থাকে একাধিক ট্রেন। সেই রেশ বৃহস্পতিবার সকালেও দেখা যায়। এর জেরে যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এই ভোগান্তি থেকে বাদ যাননি পরীক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী কেউই।

Next Article