পূর্ব বর্ধমান: স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল আইসক্রিম, বরফ জলের গাড়ি। সেসব খেয়ে স্কুলে ঢুকেছিল পড়ুয়ারা। অভিযোগ, প্রার্থনার লাইনে দাঁড়িয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে কয়েকজন। ক্লাস শুরুর পর প্রায় ১৫-২০ জন পড়ুয়া নেতিয়ে পড়ে। কারও শ্বাসের কষ্ট হচ্ছিল, কারও বমির ভাব, কারও আবার পেটে ব্যথা। আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলের ভিতর। কয়েকজনকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা। যদিও চিকিৎসকরা জানান, ডিহাইড্রেশনের কারণে এই পরিস্থিতি। শক্তিগড় (Shaktigar) থানার সামন্তি উচ্চবিদ্যালয়ে শনিবার এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়েই ছুটে আসে পড়ুয়াদের বাড়ির লোকজন। বাচ্চাদের এমন অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। মেমারির পাহারহাটি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সকলেই ভাল আছে। দু’ একজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ। শক্তিগড়ের সামন্তি উচ্চবিদ্যালয়ে একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুলের শিক্ষক সঞ্জয় সেন জানান, প্রার্থনার লাইনে দাড়িয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পরে। ক্লাস শুরু হওয়ার পর সেই সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাহারহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে জানান ওই শিক্ষক।
সুফল মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, “গ্রামের ভিতর কাজ করছিলাম। হঠাৎ শুনলাম আমাদের স্কুলের ভিতর বাচ্চারা সব অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। একটা লোক বরফ জল নিয়ে এসেছিল। সেটা খেয়েই এই বিপত্তি। আমার দু’টো মেয়ে স্কুলে। আমিও যাই। গিয়ে দেখি মেয়েও ওই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপরই পাহারহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ও এখন একটু ভাল আছে। আমার মেয়ের মতো অনেকেই খেয়েছে। কারও বুকে যন্ত্রণা, কারও মাথা ব্যথা, কেউ মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে।” যদিও পাহারহাটি হাসপাতালের চিকিৎসক অভীক রায় বলেন, “এত গরম। ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একজনকে দেখে অন্যজনের প্যানিক অ্যাটাকও হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। সকলে এখন ভাল আছে।”
আরও পড়ুন: TMC Party Office: তৃণমূলের পার্টি অফিসে ‘মেয়ে নিয়ে আড্ডা, মদ-জুয়ার আসর’, বিস্ফোরক দলেরই কাউন্সিলর
আরও পড়ুন: Kankinara Blast: লেডিজ ব্যাগে বোমা, রেললাইনে ছুঁড়তেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ