Kalna Crime: সকলের সামনেই! মদ খেয়ে পিছন থেকে এসে স্ত্রীর সঙ্গে ঘৃণ্য কাজ স্বামীর!
Kalna: আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
কালনা: সারাদিন নেশায় বুঁদ স্বামী। অভিযোগ, সংসার চালানোর টাকা দেওয়া দূরে থাক, উল্টে স্ত্রী ও সন্তানের উপর বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এরপর ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পেট্রলপাম্পে কাজ করার সময় স্ত্রীকে প্রাণে মারতে মাথায় হাতুড়ির বাড়ি। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ওই মহিলা ভর্তি কালনা হাসপাতালে।
আহত স্ত্রীর নাম পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়। স্বামী সমীর চট্টোপাধ্যায়। গতকালের ঘটনা। কালনার পাণ্ডুয়া মোড়ে একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন মহিলা। জানা গিয়েছে, সমীর সারাক্ষণই নেশায় ডুবে থাকত। অভিযোগ, কাজ-কর্ম দূরে থাক, উল্টে সংসার চালানোর টাকাটুকু পর্যন্ত দিত না সে। লাগাতার স্ত্রী ও সন্তানের উপর চলত অত্যাচার। এই কারণে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন স্ত্রী পূর্ণিমা ।
এরপর গত মঙ্গলবার, আচমকা সন্ধ্যা নাগাদ প্রেট্রল পাম্পে হাজির হয় সমীর। স্ত্রী কাজ করার সময় সে পিছন দিক থেকে এসে আচকাই হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রীতিমত খুনের চেষ্টা করে মদ্যপ স্বামী। সেই সময় পাম্প কর্মীরা স্বামীকে ধরে গণ ধোলাই দিয়ে কালনা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্বামী ও স্ত্রী চিকিৎসাধীন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। স্বামীর বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী।
আহত পূর্ণিমা বলেন, “ও সংসার চালানোর টাকা দেয় না। সারাদিন মদ খায়। আমায় আর সন্তানকে মারধর করত। সেই কারণে আমি চলে এসেছিলাম বাপের বাড়িতে। গতকাল পাম্পে কাজে যাই। সেখানেই হঠাৎ পিছন থেকে এসে আমার মাথায় আঘাত করে। পরে পাম্পের কর্মীরা এসে ওকে ধরে মারধর করে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।” অন্যদিকে, অভিযুক্ত সমীর বলে, “ও আমার সঙ্গে সংসার করবে না। এর আগে আমায় মেরেছিল। ঘাস কাটার মেশিন দিয়ে আমার গলায় কোপ মারে। আমায় মেরে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেয়। অনেক কষ্টে প্রাণে বেঁচেছি। পুলিশকেও জানিয়েছিলাম।”