ভাতার: শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের নরজা গ্রামে। মৃতের নাম রাজেন ঘোষ (২৪)। যুবকের বাড়ি ভাতারের পালার গ্রামে। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। বছর দেড়েক আগে ভাতারের নরজা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। পুজো উপলক্ষে দিন পাঁচেক আগে নরজা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সূত্রের খবর, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাজেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খবর যায় পুলিশে (Police)। শেষে পুলিশই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে ঠিক কী কারণে রাজেনের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। উত্তর নেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছেও। খুনের (Murder) অভিযোগ করেছেন রাজেনের বাবা মানিক ঘোষ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জোরকদমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাতার থানার পুলিশ।
রাজেনের বাবার এই দাবির পরেই স্বভাবতই রাজেনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের অস্বস্তি বেড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজেনের পরিবারও ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ। রাজেনের শ্বশুর মৃন্ময় ঘোষ বলেন, “গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বাড়ির সদস্যরা একটা অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিল। ফিরে এসে দেখে ওদের ঘরের দরজা বন্ধ। এরপরেই সিলিং ফ্যান থেকে রাজেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।”