তমলুক: শনিবার গভীর রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শ্যামল আদক (Shyamal Adak)। তিনি হলদিয়া পুরসভার (Haldia Municipality) প্রাক্তন চেয়ারম্যান। পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে তমলুক জেলা আদালেত পেশ করা হয়েছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী শ্যামল আদকের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান। তবে বিচারক সোমনাথ ভট্টাচার্য এদিন শ্যামল আদকের তিন দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। ১৫ ডিসেম্বর ফের তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।
এদিকে আদালত থেকে বেরনোর সময় এদিন শ্যামক আদকের শরীরি ভাষা ছিল বেশ ইতিবাচক। প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলে গেলেন, “সত্যমেব জয়তে। সত্যের জয় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে শ্যামল আদকের আইনজীবীর তুমুল বাক্য বিনিময় হয়। গ্রেফতার শ্যামল আদকের আইনজীবী কল্লোল দাসের বক্তব্য, তাঁর মক্কেলকে হাইকোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছে যে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্যামল আদককে ২৬২ ধারার হলদিয়া পৌরসভায় টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। শর্ত ছিল, থানার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
শ্যামল আদকেরআইনজীবীর দাবি, সেই মতো পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতাও করেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারিতে পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। তাঁর প্রশ্ন, শ্যামক মোদক যখন পুলিশকে সহযোগিতা করছেন, তখন আর একটি মামলায় গ্রেফতার হন কীভাবে? উল্টোদিকে সরকারি আইনজীবী বৈদ্যু আলম মল্লিক বলেন, “শ্যামল আদককে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়নি। উনি টেন্ডার দুর্নীতির প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন বলে অভিযোগ। আর সেই মামলায় ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
তমলুক জেলা আদালতের বিচারক সোমনাথ ভট্টাচার্য দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শোনার পর শ্যামল আদককে তিনদিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর আবার তাঁকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হবে।