পূর্ব মেদিনীপুর: ১৪ ডিসেম্বর দিঘা মোহনা পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী।
পর্যটন শহর দিঘা তার পারিপার্শ্বিক এলাকায় সোমবার সকালেই হাজির হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁকে দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। ভাঙন সমস্যায় জর্জরিত দিঘা মোহনা উপকূল। প্রতি অমাবস্যা, পূর্ণিমা কোটাল- সহ প্রতিকূল আবহাওয়া তৈরি হলে বিপদের প্রমাদ গুনতে হয় স্থানীয় শুঁটকি পট্টির মৎস্যজীবীদের। জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাঁদের বাসস্থান। ক্ষতি হয় কারবারের। কুণাল ঘোষ এদিন এলাকায় যাওয়া মাত্রই সেই সমস্ত পরিস্থিতির কথা তাঁর সামনে তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে কথা বলে নিত্য এ সমস্যা এবার মিটবে বলে মৎস্যজীবীদের আশ্বস্ত করেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আগামী ১৪ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসার কথা জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। শুরু হবে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ। এ খবরে খুশি মৎস্যজীবীরা।রবিবার সকালে দিঘা মোহনায় স্থানীয় মৈত্রাপুর খটি মৎস্যজীবীদের সঙ্গে চা-চক্রে শামিল হন কুণাল ঘোষ- সহ রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, রামনগর- ১ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুশান্ত পাত্র, পদিমা-২ গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উত্তম দাস প্রমুখ।
সেখানে নেতৃত্বের কাছে সমুদ্র ভাঙন সমস্যা- সহ পাট্টা বন্টন নিয়ে অভিযোগ পেশ করেন মৎস্যজীবীরা। সেচমন্ত্রী থাকাকালীন আশ্বাস দিয়েও শুভেন্দু অধিকারী ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ উঠে আসে। যা শুনেই ভাঙনপ্রবন এলাকা পরিদর্শনে যান কুণাল- সহ উপস্থিত মন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতৃত্ব।
এরপরই সেখান থেকে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন কুণাল। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “সমুদ্রে এখানে চম্পা খাল মিশে গিয়ে ব্যাপক ভাঙন তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে পাড়ের একাংশ সমুদ্রের গ্রাসে চলে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা কোনওভাবে বাঁধ দিয়ে রেখেছেন। শুভেন্দু অধিকারী একটা সময় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী থাকাকালীন। মানুষ খুব বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন এখানে। জীবন হাতে করে বাঁচতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যবস্যা, বসতির ক্ষতি হচ্ছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁ জরুরিভিত্তিতে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কর্তাদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে আসবেন।”
জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি – সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে বৈঠক বসবেন বলে জানান কুণাল। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দ্রুততার সঙ্গে এলাকায় একটি সেড বানিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন উপপ্রধান উত্তম দাস। রাজ্য সরকার যে এখানকার মানুষের উন্নতি সাধন ও এলাকার সার্বিকভাবে উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর তাও স্পষ্ট করেন স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী অখিল গিরি।