Primary Teacher: পরীক্ষার মাঝেই ফের প্রাইমারিতে ফেরার হিড়িক চাকরিহারাদের, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৮ জনের পুনর্বহালে ‘গ্রিন সিগন্যাল’
Primary Teacher: জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, কোর্টের নির্দেশে যারা যোগ্য শিক্ষক যারা আগে প্রাইমারী স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন তারা ফের প্রাইমারিতে ফেরার জন্যে আবেদন করেছিলেন। এমন ৩৮ জনকে পুনর্নিয়োগের জন্যে 'গ্রিন সিগন্যাল' দিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।

পূর্ব মেদিনীপুর: চাকরি করছিলেন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। কিন্তু, পুরো প্যানেল বাতিলের জেরে যখন ফের নতুন করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তখন ফের পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফেরার হিড়িক চাকরিহারাদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁদের পুরনো কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ প্রাইমারি স্কুলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এবার তাঁদের বহাল করতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল প্রাশাসনিক মহলে।
তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে পুনর্বহালের জন্য রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশ চলে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতির কাছে। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। এক সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা পুনরায় নিয়োগের চিঠি হাতে পাবেন বলেই জানা গিয়েছে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, কোর্টের নির্দেশে যারা যোগ্য শিক্ষক যারা আগে প্রাইমারী স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন তারা ফের প্রাইমারিতে ফেরার জন্যে আবেদন করেছিলেন। এমন ৩৮ জনকে পুনর্নিয়োগের জন্যে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন চাকরিহারারা
৩৮ জনের তালিকায় রয়েছেন কার্তিক আদক। ২০০৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন কাজে। পরবর্তীতে পদোন্নতি হয়। প্রধান শিক্ষকও হয়েছিলেন। পরে পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে। এখন খানিক আক্ষেপের সুরে তিনি বলছেন, “প্রাইমারিতে বেশি বেতনের চাকরি ছেড়ে মাধ্যমিকে কম বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম পদার্থবিদ্যাকে ভালবেসে। আজকে জীবিকা বাঁচাতে আবার ডিমোশন হয়ে পুরান পোস্টে জয়েন করতে হবে।”
তালিকায় রয়েছে তমলুকের শিক্ষিকা খিলখিল তুঙ্গ। তিনিও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সরকারের উপরে। তিনি বলছেন, সরকারের ব্যর্থতার দায়ে যোগ্যদেরও চাকরি গিয়েছে। এখন এসএসসি ক্র্যাক করলেও তাঁরা ফের হাইস্কুলে যে ফিরে যাবেন তার নিশ্চয়তা নেই।
